আরও পড়ুন– ‘বিয়েতে না এলে…’ নিমন্ত্রণ পত্রেই ‘ধমক’ অতিথিকে ! হরিয়ানভিতে লেখা বিয়ের কার্ড ভাইরাল
সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা বলেন, ‘‘সম্প্রতি আমি মুম্বই গিয়ে রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুকেশ আম্বানির সঙ্গে দেখা করেছি ৷ তাঁকে ত্রিপুরায় আসার জন্য অনুরোধও জানিয়েছি। কারণ আমাদের রাজ্যে পর্যটন শিল্প এবং বাঁশ ভিত্তিক শিল্প-সহ প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। আমি তাঁর সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট আলোচনা করেছি। তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেন যে খুব শীঘ্রই একটি টিম রাজ্য সফরে আসবে। এছাড়াও আমরা রাজ্যের আইটিআইগুলিকে আপগ্রেড করার জন্য টাটা গ্রুপের সাথে একটি মৌ স্বাক্ষর করেছি। এই আইটিআইগুলি বছরের পর বছর ধরে অবহেলিত ছিল। কিন্তু এখন টাটা গ্রুপ এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আধুনিকীকরণের জন্য প্রায় ৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।’’
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এদিনের সম্মেলনে বিপুল সংখ্যায় মানুষের উপস্থিতি দেখে তিনি আপ্লুত, অভিভূত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপর আস্থা রয়েছে মানুষের। আগে ত্রিপুরা-সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের চারদিকে শুধু উগ্রবাদ ছিল। তারা মূলস্রোত থেকে চলে গিয়ে অন্যদিকে ধাবিত হয়েছে। এতে নিজেদের জীবন যেমন নষ্ট হয়েছে তেমনি পরিবারের জীবনও নষ্ট হয়েছে। সেই সঙ্গে গোটা অঞ্চলের ক্ষতি হয়েছে। সেই জায়গায় ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি দায়িত্ব গ্রহণের পর ধীরে ধীরে উত্তর পূর্বাঞ্চলের পরিবর্তন হয়েছে। শান্তি শৃঙ্খলা সম্প্রীতি ছাড়া কোনকিছু সম্ভব নয়। আর সেটা প্রধানমন্ত্রী বুঝেছেন। এজন্য অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি চালু করেছেন তিনি। প্রায় ১১/১২টির মতো চুক্তি হয়েছে এই অঞ্চলে। ২০২৪ এর ৪ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে এটিটিএফ ও এনএলএফটির সঙ্গে অনুষ্ঠিত চুক্তির সময়ে কেন্দ্রীয় গৃহমন্ত্রী অমিত শাহও ছিলেন। আর প্রধানমন্ত্রীর মার্গ দর্শনে সেখানে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্য দিয়ে ত্রিপুরা এখন সন্ত্রাসবাদ মুক্ত রাজ্যে পরিণত হয়েছে।