এ ছাড়াও এই সংশোধনীর ফলে জন্ম মৃত্যু সংক্রান্ত তথ্য আরও নিখুঁত ভাবে সরকারের হাতে থাকবে৷ যার ফলে সরকারি সুযোগ সুবিধা বিতরণের ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতা আসবে৷ লোকসভায় বিলটি পেশ করে এ দিন এমনই দািব করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই৷
আরও পড়ুন: হিমোগ্লোবিন অনেকটাই কম, রক্ত দেওয়া হল বুদ্ধদেবকে! অবস্থার আরও কিছুটা উন্নতি
advertisement
এ দিন লোকসভায় বিরোধীদের প্রবল আপত্তির মধ্যেই এই বিলটি পাস হয়৷ বিরোধীদের দাবি ছিল, আগে মণিপুর হিংসার ইস্যুতে সংসদে বিবৃতি দিতে হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে৷
নিত্যানন্দ রাই জানান, জন্ম মৃত্যু নথিভুক্তিকরণ আইন তৈরি হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত কোনও সংশোধনই হয়নি৷ কিন্তু সামাজিক এবং প্রযুক্তিগত বদলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই এই আইনটি আরও সাধারণ মানুষের আরও উপযোগী করে তোলার প্রয়োজন ছিল৷ সেই কারণেই সংশোধনী আনা হয়েছে৷
এই সংশোধনীর ফলে ডিজিটাল এবং ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতেই সাধারণ মানুষ জন্ম এবং মৃত্যুর শংসাপত্র পেয়ে যাবেন৷ ঠিক যেভাবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের মতো নথি এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ এর ফলে রাজ্য এবং েকন্দ্রীয় সরকারের তথ্য ভাণ্ডারেও আরও নিখুঁত তথ্য থাকবে৷ ফলে প্রকৃত যাঁরা প্রাপক, তাদের কাছেই সরকারি সুযোগ সুবিধা যথাযথ ভাবে পৌঁছে দেওয়া যাবে৷
এ ছাড়াও কারও জন্মস্থান কোথায় তার প্রামাণ্য নথি হিসেবে এবার থেকেই জন্ম শংসাপত্রকেই ব্যবহার করা যাবে৷ ফলে স্কুলে ভর্তি, সরকারি চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রেও জটিলতা অনেক কমবে৷ পাসপোর্ট, আধার নম্বর পাওয়ার ক্ষেত্রেও একাধিক নথির বদলে শুধুমাত্র জন্ম শংসাপত্রজমা দিয়েই আবেদন করা যাবে৷