১৯৯৬ সালে ওই মহিলা ওই পুরুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে সহবাস করেছেন ওই যুবক। তার পর বিয়ে করতে চাননি। সেই কারণে তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই এফআইআর-এর ভিত্তিতে ওই যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৭৬, ৪১৭-তে মামলা রুজু করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ছে ওমিক্রন! 'বাঁচতে হলে…’, কোন 'দুই' পথ দেখালেন এইমস প্রধান?
মামলা চলাকালীন ওই পুরুষটি সমস্ত রকম অভিযোগ অস্বীকার করেণ। এই নিয়ে নিম্ন আদালতে তিন বছর মামলা চলে। পালঘরের অ্যাডিশনল সেশন বিচারক ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৭ ধারায় ওই ব্যক্তিকে দোষি সাব্যস্ত করেন। এক বছরের জেলেও যেতে হয় তাঁকে, দিতে হয় পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা। সেই শুনানির সময়েই অভিযোগকারী মহিলা বলেন, অভিযুক্ত তাঁর পরিচিত। তিন বছরের সম্পর্ক ছিল তাঁদের মধ্যে। প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানায় ওই মহিলার পরিবারের অন্য সদস্যরাও।
আরও পড়ুন: কাজিরাঙা-য় পর্যটকদের গাড়ি তাড়া করল গন্ডার! দেখুন হাড়হিম করা ভিডিও
এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি প্রভুদেশাই বলেছেন, এই মামলায় এটা প্রমাণিত নয় যে কোনও প্রতিশ্রুতির উপর ভিত্তি করে ওই মহিলা ওই পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। বরং মহিলা এই শারীরিক সম্পর্কের বিষয়ে সহমত হয়েছিলেন। দু'জনের মত মেনেই দৈহিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। সেই কারণেই একে অপরাধ বলা চলে না।