কিন্তু, রবিবার আরও একটি চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন উদ্ধব ঘনিষ্ঠ সাংসদ সঞ্জয় রাউত। তাঁর দাবি, শিবসেনা-র নাম এবং চিহ্ন ব্যবহার নিয়ে বড়সড় ব্যবসায়িক ডিল হয়েছে। অন্তত ২০০০ কোটি টাকার বিনিময়ে শিবসেনা-র নাম এবং দলীয় প্রতীক কিনেছে শিন্ডে শিবির।
আরও পড়ুন: বাজেট নিয়ে বড়ই ব্যস্ত! আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে সিবিআই হাজিরা এড়ালেন মণীশ সিসোদিয়া
advertisement
এদিন রাউত একটি ট্যুইটে লেখেন, "আমি বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পেয়েছি যে, শিবসেনা-র নাম এবং প্রতীক কেনার জন্য ২ হাজার কোটি টাকার ডিল হয়েছে। টাকার অঙ্কটা এর চেয়ে বেশিও হতে পারে। তবে খবর ১০০ শতাংশ সত্যি। কিছু দিনের মধ্যেই যাবতীয় সত্যি ঘটনা সকলের সামনে চলে আসবে। ভারতের ইতিহাসে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হয় না।"
যদিও, সঞ্জয় রাউতের এই দাবিকে গুরুত্বই দিচ্ছে না শিন্ডে শিবির। একনাথ শিন্ডে ঘনিষ্ঠ বিধায়ক সদা সাভারকরের কটাক্ষ, "সব শুনে মনে হচ্ছে উনি কোনও ক্যাশিয়ার!"
আরও পড়ুন: সামনেই পুর নির্বাচন! হলদিয়ায় এবার প্রেস্টিজ ফাইট তৃণমূলের, ঢেলে সাজছে সংগঠন
২০২২ সালের জুন মাসে ৩৬ জন বিধায়কের সমর্থন নিজের দিকে টেনে উদ্ধব ঠাকরেকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি থেকে হঠিয়ে দেন একদা ঠাকরে পরিবারের অনুগত শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে। অবশ্যই, এবিষয়ে তাঁকে সাহায্য করেছিল বিজেপি। সেই সময় থেকেই শিন্ডে দাবি করেছিলেন, তাঁরাই 'আসল' শিবসেনা। দলের 'মালিকানা' প্রসঙ্গে কমিশনের কাছে উদ্ধব ও শিন্ডে দুই গোষ্ঠীই নিজেদের দাবি রেখেছিল। অবশেষে, জয়ী হল শিল্ডে শিবির। গত শুক্রবার থেকে শিবসেনা-র নাম এবং নির্বাচনী প্রতীক 'তির-ধনুক' দুই-ই ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছেন তাঁরা।