TRENDING:

দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাটাই ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে? খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টেই সেই আশঙ্কা

Last Updated:
impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাটাই ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে? খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টেই সেই আশঙ্কা । গত চার বছরে ৩ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি গলে গিয়েছে ২১ টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে। এর মধ্যে মোটে ৪৪ হাজার কোটি উদ্ধার করা গিয়েছে। অনুৎপাদক সম্পদ নিয়ে উদ্বেগ মেনে নিল মোদি সরকারও।
advertisement

২০১৪ থেকে ২০১৮ - এই চার বছরে ৩ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ মুছে ফেলতে বাধ্য হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলো। উদ্ধার হয়েছে মাত্র ৪৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ যে টাকার ঋণ নেওয়া হয়,উদ্ধার হয়েছে তার মাত্র ৭ ভাগের এক ভাগ।

অনাদায়ী ঋণের শীর্ষে এসবিআই

বকেয়া ঋণ অনেকক্ষেত্রে জমার অনুপাতের তুলনায় বেশি

advertisement

ঋণ খেলাপের পরেও সেই সংস্থাকে ঋণ দেওয়া হয়

ব্যাঙ্ক গ্যারান্টিরও শর্তও অনেকক্ষেত্রে মানা হয়নি

অনাদায়ী ঋণের চাপেই ব্যাঙ্কেই নগদ সংকটে ভুগছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলো। অনাদায়ী ঋণের তালিকার দিকে তাকালেই তা স্পষ্ট হবে।

ব্যাঙ্ক অনাদায়ী ঋণ

--------------------------

এসবিআই ৪০২৮১ কোটি

advertisement

ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ৯০৯৩ কোটি

কানাড়া ব্যাঙ্ক ৮৩১০ কোটি

পিএনবি ৭৪০৭ কোটি

আইসিআইসিআই ৯১১০ কোটি

ব্যাঙ্ক

অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ১১৬৮৮ কোটি

ওভারসিজ ব্যাঙ্ক ১০৩০৭ কোটি

আইডিবিআই ৬৬৩২ কোটি

advertisement

এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক ৩৬৪৮ কোটি

ব্যাঙ্ক অফ বরোদা ৫২০০ কোটি

গত ১০ বছরে অনদায়ী ঋণের পরিমাণ দেখে আঁতকে উঠবেন যে কেউই।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক -- ৪০০৫৮০ কোটি

বেসরকারি ব্যাঙ্ক -- ৭৯৪৯০ কোটি

মোট অনাদায়ী -- ৪৮০০৯৩ কোটি

ঋণ খেলাপের ঘটনায় মোদি সরকারের দিকে আঙুল তুলছে বিরোধীরা।

advertisement

নোট বাতিলে বড়লোকদের সব কালো টাকা সাদা হয়েছে। সাধারণ মানুষের ৩ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি গলে গিয়েছে -- রাহুল গান্ধি

অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা নিয়ে আশঙ্কা চাপতে পারছেন না কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীও।

আরবিআই স্বচ্ছ পদ্ধতি অনুসরণ করছে। ২০১৪ সালের মার্চে মোট অনুত্পাদক সম্পদ ২.২৬ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০১৮ সালের মার্চে অনুত্পাদক সম্পদের পরিমাণ এখন প্রায় ৯ লক্ষ কোটি টাকা।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লালগোলাতে রাজরাজেশ্বরী রূপে পূজিতা হন মা কালী! দেওয়া হয় ইলিশের ভোগ
আরও দেখুন

আম আদমির কষ্ট করে বাঁচানো টাকা উদ্ধার করতে না পারার দায় কার? দিনকয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বকেয়া ঋণের দায় চাপিয়েছিলেন ইউপিএ সরকারের দিকে। রিপোর্টে কিন্তু স্পষ্ট, ঋণ আদায় করতে না পারার দায় নিতে হবে মোদি সরকারকেও।

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থাটাই ভাঙনের মুখে দাঁড়িয়ে? খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টেই সেই আশঙ্কা