২০১৪ থেকে ২০১৮ - এই চার বছরে ৩ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি সম্পদ মুছে ফেলতে বাধ্য হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলো। উদ্ধার হয়েছে মাত্র ৪৪ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ যে টাকার ঋণ নেওয়া হয়,উদ্ধার হয়েছে তার মাত্র ৭ ভাগের এক ভাগ।
অনাদায়ী ঋণের শীর্ষে এসবিআই
বকেয়া ঋণ অনেকক্ষেত্রে জমার অনুপাতের তুলনায় বেশি
advertisement
ঋণ খেলাপের পরেও সেই সংস্থাকে ঋণ দেওয়া হয়
ব্যাঙ্ক গ্যারান্টিরও শর্তও অনেকক্ষেত্রে মানা হয়নি
অনাদায়ী ঋণের চাপেই ব্যাঙ্কেই নগদ সংকটে ভুগছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলো। অনাদায়ী ঋণের তালিকার দিকে তাকালেই তা স্পষ্ট হবে।
ব্যাঙ্ক অনাদায়ী ঋণ
--------------------------
এসবিআই ৪০২৮১ কোটি
ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ৯০৯৩ কোটি
কানাড়া ব্যাঙ্ক ৮৩১০ কোটি
পিএনবি ৭৪০৭ কোটি
আইসিআইসিআই ৯১১০ কোটি
ব্যাঙ্ক
অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ১১৬৮৮ কোটি
ওভারসিজ ব্যাঙ্ক ১০৩০৭ কোটি
আইডিবিআই ৬৬৩২ কোটি
এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক ৩৬৪৮ কোটি
ব্যাঙ্ক অফ বরোদা ৫২০০ কোটি
গত ১০ বছরে অনদায়ী ঋণের পরিমাণ দেখে আঁতকে উঠবেন যে কেউই।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক -- ৪০০৫৮০ কোটি
বেসরকারি ব্যাঙ্ক -- ৭৯৪৯০ কোটি
মোট অনাদায়ী -- ৪৮০০৯৩ কোটি
ঋণ খেলাপের ঘটনায় মোদি সরকারের দিকে আঙুল তুলছে বিরোধীরা।
নোট বাতিলে বড়লোকদের সব কালো টাকা সাদা হয়েছে। সাধারণ মানুষের ৩ লক্ষ ১৬ হাজার কোটি গলে গিয়েছে -- রাহুল গান্ধি
অনুৎপাদক সম্পদের বোঝা নিয়ে আশঙ্কা চাপতে পারছেন না কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীও।
আরবিআই স্বচ্ছ পদ্ধতি অনুসরণ করছে। ২০১৪ সালের মার্চে মোট অনুত্পাদক সম্পদ ২.২৬ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০১৮ সালের মার্চে অনুত্পাদক সম্পদের পরিমাণ এখন প্রায় ৯ লক্ষ কোটি টাকা।
আম আদমির কষ্ট করে বাঁচানো টাকা উদ্ধার করতে না পারার দায় কার? দিনকয়েক আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বকেয়া ঋণের দায় চাপিয়েছিলেন ইউপিএ সরকারের দিকে। রিপোর্টে কিন্তু স্পষ্ট, ঋণ আদায় করতে না পারার দায় নিতে হবে মোদি সরকারকেও।