এটি ঝাড়খণ্ডের জন্য একটি বিশেষ বিষয়, কারণ সিপি রাধাকৃষ্ণণ যদি নির্বাচনে জয়ী হন, তাহলে দেশের উভয় সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদই ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপালদের হাতে থাকবে। বর্তমানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন। তিনি ১৮ মে ২০১৫ থেকে ১৩ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল ছিলেন, যার পরে তিনি দেশের প্রথম মহিলা উপজাতি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
advertisement
ঝাড়খণ্ডের রাজভবন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাধান্য পায়
এই কাকতালীয় ঘটনা ঝাড়খণ্ডের জন্য গর্বের বিষয় এবং এই কারণে ঝাড়খণ্ডের রাজভবন সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইউজাররা এটিকে ‘লাকি’ বলছেন, কারণ এখানকার এক প্রাক্তন রাজ্যপাল এখন দেশের সর্বোচ্চ পদে আছেন, আরেকজন হয়তো থাকতে চলেছেন।
আরও পড়ুন- আপনার ফোনে এসেছে mParivahan-এর মেসেজ? আধার, মোবাইল নম্বর নিয়ে বড়সড় আপডেট
ঝাড়খণ্ডের রাজভবন ‘লাকি’
এই আলোচনা শুরু হয় যখন একজন ইউজার বিবেকানন্দ ফেসবুকে পোস্ট করে লেখেন, “ঝাড়খণ্ডের রাজভবন খুবই লাকি”! তিনি দুই প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু এবং সিপি রাধাকৃষ্ণণের কথা উল্লেখ করেন। দ্রৌপদী মুর্মু ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবে রাজভবনে ছিলেন, এখন তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি। আবার সিপি রাধাকৃষ্ণন রাজ্যপাল থাকাকালীন ১ বছর ৫ মাস ঝাড়খণ্ডের এই রাজভবনে ছিলেন। এখন তাঁকে এনডিএ উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য প্রার্থী করেছে।
যদি রাধাকৃষ্ণন নির্বাচনে জয়ী হন, তাহলে এটিই প্রথমবার হবে যেখানে দেশের রাষ্ট্রপতি এবং উপরাষ্ট্রপতি উভয়ই একই রাজ্যের প্রাক্তন রাজ্যপাল হবেন। এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে রাধাকৃষ্ণণের জয়ের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কারণ রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা এনডিএর পক্ষে। সেই কারণেই রাজভবন সম্পর্কে করা এই পোস্টটি আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে এবং এটি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য হচ্ছে।
২০২২ সালে রাষ্ট্রপতি হন দ্রৌপদী মুর্মু
ওড়িশার ময়ূরভঞ্জের বাসিন্দা দ্রৌপদী মুর্মু ১৮ মে ২০১৫ থেকে ১৩ জুলাই ২০২১ পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর মেয়াদ ছিল ৬ বছরেরও বেশি, যা ঝাড়খণ্ডের ইতিহাসে দীর্ঘতম মেয়াদ। এই সময়ে বিজেপি এবং তার মিত্ররা তাঁকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করে। বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন সাংসদ যশবন্ত সিনহাকে প্রার্থী করে। দ্রৌপদী মুর্মু সহজেই নির্বাচনে জয়লাভ করেন এবং ২০২২ সালে রাষ্ট্রপতির পদ গ্রহণ করেন।