রাইসিনা হিলে দেশের দ্বিতীয় দলিত রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রবেশ করবেন রামনাথ কোবিন্দ ৷ ৭,০২,০৪৪ ভোট পেয়েছেন রামনাথ ৷ তাঁর মোকাবিলায় ৩,৬৭,৩১৪ ভোট পেয়েছেন বিরোধীদের প্রার্থী মীরা ৷ রামনাথ পেয়েছেন ৫২২ সাংসদের ভোট ও মীরা পেয়েছেন ২২৫ সাংসদের ভোট ৷ ২৯৩০ সাংসদ-বিধায়কের সমর্থন কোবিন্দকে ৷ ১৮৪৪ সাংসদ-বিধায়কের সমর্থন গিয়েছে মীরা কুমারের দিকে ৷ বাতিল ৬৭ সাংসদ-বিধায়কের ভোট ৷এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকেই বাতিল ১০টি বিধায়ক ভোট ৷
advertisement
আশঙ্কা মতোই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হয়েছে ক্রস ভোটিং ৷ গুজরাত, অসম, গোয়া, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে ক্রস ভোটিং ৷ সব ক্ষেত্রেই রামনাথের পক্ষে গিয়েছে সমস্ত ক্রস ভোট ৷ পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১১ জন বিধায়কের ভোট পড়েছে কোবিন্দের পক্ষে ৷ সেখানে মাত্র ৫টি ভোট পাওয়ার কথা ছিল নয়া প্রেসিডেন্টের ৷
২৫ জুন শপথ নেবেন ভারতের ১৪ তম রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ৷ এর আগে বিহারের রাজ্যপাল পদে ছিলেন কোবিন্দ ৷ পেশায় আইনজীবী কোবিন্দ ১৯৯৪ থেকে উত্তরপ্রদেশ থেকে রাজ্যসভার সাংসদ নির্বাচিত হন ৷ ২০০৬ মার্চ অবধি দীর্ঘ ১২ বছর তিনি সাংসদ পদ সামলেছেন ৷ এদিন জয়ের পর রামনাথের প্রতিক্রিয়া-‘এই দায়িত্ব উপহারের মতো ৷ সংবিধানের মর্যাদা রক্ষা কর্তব্য ৷ ধর্মনিরপেক্ষ ভাবে লড়াই করব ৷ কাজ করব নিপীড়িত ও প্রান্তিকদের জন্য ৷ সকলকে অনেক ধন্যবাদ ৷’
কানপুরের দেহাতে ১৯৪৫ সালে ১ অক্টোবর জন্ম হয় রামনাথ কোবিন্দের ৷ কর্মাস নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশুনা শেষ করার পর কানপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পাশ করেন ৷ ১৯৭৭ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত দিল্লি হাইকোর্টে এবং ১৯৮০ থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত সু্প্রিম কোর্টে কেন্দ্র সরকারের কৌঁসুলি হিসেবে কাজ করেছেন ৷
রামনাথ কোবিন্দ ১৯৭৪ সালে সবিতা কোবিন্দকে বিয়ে করেন ৷ তাদের এক পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে ৷
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই ১৪তম রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ৷
