জাতিসঙ্ঘকে কটাক্ষ করে রাজনাথ প্রথমে বলেন, “ভারতের নির্বাচন নিয়ে জাতিসঙ্ঘ বলার কে? দেশে কি এর আগে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি? ২০১৯-এ সঠিক ভোট হয়নি? ২০১৪-এ হয়নি? আমি বলি, ২০১৪ সালের আগেও ভারতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। হঠাৎ এই ইস্যু তোলা হচ্ছে কেন”? এরপর বিরোধীদের তুলোধোনা করেন রাজনাথ। তাঁর প্রশ্ন, “ধরে নিলাম এজেন্সি মুখ্যমন্ত্রী বা উপ মুখ্যমন্ত্রীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছে। তাহলে আদালত তাঁদের জামিন দিচ্ছে না কেন”?
advertisement
আরও পড়ুনঃ আর হাতে ২ঘণ্টা! ঝড়বৃষ্টিতে ভিজবে দক্ষিণের দুই জেলা! নিমেষে বদলে যাবে আবহাওয়া!
গত সপ্তাহে, জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিককে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি এবং বিরোধী দল কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করার পর লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশে ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা’ তৈরি হচ্ছে কি না জিজ্ঞেস করা হলে বলেছিলেন, “অন্যান্য দেশের মতো ভারতে নির্বাচন হতে চলেছে। আমরা আশা করি রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। নাগরিকরা অবাধ এবং নিরপেক্ষ পরিবেশে ভোট দিতে পারবেন”।
এরপরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। জাতিসঙ্ঘের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার মন্তব্য উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কোনও বৈশ্বিক সংস্থার প্রয়োজন নেই। শুধু তাই নয়, জাতিসঙ্ঘে সাংবাদিক সম্মেলনের সময় ভারতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর জবাব ছিল, “উদ্দেশ্যপূর্ণ প্রশ্ন”। একইভাবে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করায় আমেরিকাকেও কড়া কথা শুনিয়ে দিয়েছিল ভারত। সিনিয়র মার্কিন কূটনীতিককে ডেকে পাঠানোও হয়। কেন এমন মন্তব্য করা হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা চায় কেন্দ্র সরকার। তার আগে কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে জার্মান বিদেশ মন্ত্রকের মন্তব্যের প্রতিবাদে নয়াদিল্লি জার্মান ডেপুটি চিফ অফ মিশনকে তলব করেছিল।