সেই নির্বাচন রাজীব গান্ধির জীবনে খুব গুরুত্ব ছিল সেখাই থেকেই রাজীবের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়েছিল । ২৪, ২৭ ডিসেম্বর ১৯৯৪ নির্বাচনের দিন ধার্য ছিল । ঐ বইয়ে উল্লেখ আছে বিভিন্ন রকমের আক্রমণাত্মক নির্বাচন কৌশল তৈরি করেছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী । নির্বাচন প্রচারের অন্যতম রণনীতি ছিল শিখদের জন্য আলাদা রাজ্য তৈরির মত সংবেদনশীল বিষয় । হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অসোন্তোষকেই মূলধন করে নির্বাচন বৈতরণী পার করার চেষ্টা করেছিলেন ।
advertisement
আরও পড়ুন আলোয় ফিরে হাসছে মালদহের গোপালপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা
কিদয়াই তাঁর বইয়ে দাবি করেন ২৫ দিনের নির্বাচন প্রচারে রাজীব গান্ধি গাড়ি, হেলিকপ্টার ও বিমানে ৫০ হাজার কিলোমিটার যাত্রা করেছিলেন ।
মা ইন্দিরা গান্ধির মৃত্যুর পর সহানুভূতি ঢেউ পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে হিন্দু্ত্বকে নিশানা করে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএস সহসঞ্চালক বালাসাহেব দেবরাসের সাথে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
তাঁর বইয়ের তৃতীয় অধ্যায়ের শেষের দিকে কিদবাই লিখেছিলেন মায়ের মৃত্যুর সহানূভূতির ঢেউ রাজীবের পক্ষেই যায় । ফলসরূপ ৫২৩ আসনের মধ্যে ৪১৫ আসনে বিপুল জয়লাভ করেন । ইন্দিরা গান্ধি বা জওহরলাল নেহেরু এমন সাফল্য পাননি কোনদিন।
আরও পড়ুন পঞ্চায়েত মনোনয়নে অশান্তির জের বারুইপুরে গুলিবিদ্ধ সিপিএম নেতা
প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা বনওয়ারিলাল পুরোহিত (তখন নাগপুরের সাংসদ ছিলেন) দাবি করেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএস সহসঞ্চালক ও রাজীব গান্ধির মধ্যে বৈঠকের মধ্যস্থতা তিনি করেছিলেন ।
কিদবাই তাঁ বইয়ে দাবি করেন নির্বাচন চলা কালীন অ-বিজেপি দলকে সমর্থন দেওয়াতে আরএসএসের কোনও বিশেষ আপত্তি ছিলনা ।
কিদবাই আরও লেখেন ১৯৭০ সেপ্টেম্বরে শিবসেনা প্রথম নির্বাচনে জয়লাভ করে । সেই সময়ে শিবসেনাকেও আরএসএস সমর্থন করে । মুম্বই (তখন বোম্বে) কমিউনিস্ট বিধায়ক কৃষ্ণ দেশাইয়ের হত্যার পরে সেই আসনে উপনির্বাচন বিশেষ জরুরি হয়ে পড়ে ছিল । সেখানে কমিউনিস্ট পার্টি কৃষ্ণ দেশাইয়ের স্ত্রীকে নির্বাচনে লড়ার জন্য টিকিট দিয়েছিল । উপনির্বাচনে শিবসেনা প্রার্থী হিসাবে বামণ মহাদিক বিজয়ী হন ।কংগ্রেস সহ ৯ রাজনৈতিক দল সরোজিনিকে সমর্থন করে । কিন্তু শিবসেনা জয়লাভ করে । জানা গেছে আরএসএস সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে শিবসেনাকে জেতানোর জন্য আবেদন করেন ।