সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্থানীয় রীতি অনুযায়ী, বিবাহের ক্ষেত্রে বরপক্ষকে দাপা (কর দিতে হয়) এই অর্থের পরিমাণ প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। তাই সেই টাকা জোগাড় করার উদ্দেশেই নিজের ছেলেকেই বন্ধক রেখে প্রতি মাসে টাকা শোধ করার পরিকল্পনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলা: সনিয়া ও রাহুল গান্ধির বিরুদ্ধে ইডির চার্জশিটে কী বলা হয়েছে?
advertisement
সূত্র অনুযায়ী, উদয়পুরের আমবাদেহ এলাকার কোটাডা অঞ্চলের বাসিন্দা মিরখা প্রথম বিবাহের পরেও আরও এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তাঁরা একসঙ্গে থাকতেও শুরু করেন। গ্রামের স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে জানানো হয় ওই ব্যক্তিকে মহিলার সঙ্গে বিবাহ করতে হবে। এই বিবাহের জন্য দাপা অর্থের জন্য ৪৫ হাজার টাকা জমা করতে হবে। এরপরেই অর্থের বিনিময়ে নিজের ৯ বছরের ছেলেকে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর কাছে ‘বন্ধক’ রাখেন তিনি। এই ঘটনা তাও ১০ মাস আগের।
আরও পড়ুন: বেডে শুয়ে থাকা বিমানসেবিকাকে পর পর যৌন নির্যাতন…দাঁড়িয়ে দেখল ২ নার্স!
এই ঘটনা জানতে পেরেই আসরে নামেন এলাকার এক স্কুল শিক্ষক। তার তৎপরতাতেই উদ্ধার হয় ওই শিশু। উদয়পুরের রেলওয়ে ট্রেনিং গভর্নমেন্ট হায়ারসেকেন্ডারি স্কুলের শিক্ষক দুর্গারাম মুয়াল জানতে পারেন ওই শিশুকে তার বাবা বন্ধক রেখেছেন। ওই শিশুর খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন শিশুটি রয়েছে গুজরাতের ইদারে। শিক্ষক এটাও জানতে পারেন কোনওভাবেই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না শিশুটিকে। এমনকি কথাও বলতে দেওয়া হয় না। শুধু মাঝে মাঝে ফোনে কথা বলতে দেওয়া হয়।
প্রথমে শিশুকে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন ওই শিক্ষক। কিন্তু, তাঁদেরকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে ঠিকানার খোঁজ দেন। কিন্তু, গুজরাতেই নিজের সহকর্মী কুণাল চৌধুরির সাহায্যে ওই ব্যবসায়ীর বাড়ি খুঁজে বের করেন দুর্গারাম। সেখান থেকে আরও বেশ কয়েকজন শিশু উদ্ধার হয়। দুর্গারাম এবং কুণালের এই দুঃসাহসিক কাজে রীতিমত গর্বিত এলাকাবাসী।
