মহাভারতের কাহিনী অনুযায়ী, কুম্ভকর্ণ বছরের ৬ মাস ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিতেন। কিন্তু পুরখারাম তো তার থেকেও বেশি ঘুমোতে পারেন! চিকিত্সকরা বলেন, শরীর ফিট রাখতে নিয়মিত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম বাধ্যতামূলক। কিন্তু পুরখারাম তো টানা ২৫ দিন ঘুমিয়ে নেন। তাতে অবশ্য তাঁর শরীর ফিট থাকে না। বরং শরীর আরও অসুস্থ হয়ে যায়। ২৩ বছর আগে তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কথা জানতে পারেন চিকিত্সকরা। বিরল রোগে আক্রান্ত তিনি। এখন পুরখারামের বয়স ৪২। পেশায় ব্যবসায়ী তিনি। তবে মাসে মাত্র ৫ দিন তিনি দোকান খুলে পারেন। বাকি দিন ঘুমিয়ে থাকতে হয় পুরখারামকে। দোকানে থাকতে থাকতেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। আর একবার ঘুমিয়ে পড়লে তাঁকে আর ডেকে তোলা সম্ভব হয় না।
advertisement
প্রথম দিকে দিনে ১৫ ঘণ্টা ঘুমোতেন পুরখারাম। সেই সময় তাঁর পরিবারের লোকজন তাঁকে দেখে অবাক হতেন। এর পর স্থানীয় চিকিত্সকদের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় পুরখারামকে। তাঁরা অসুখ ধরতে পারেননি। গত কয়েক বছরে পুরখারামের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। এখন মাসে ২৫ দিন ঘুমিয়ে থাকেন তিনি। পুরখারাম ঘুমিয়ে থাকা অবস্থাতেই তাঁকে স্নান করিয়ে খাইয়ে দেন পরিবারের লোকজন। কখনও কখনও কাজ করতে গিয়ে আচমকা ঘুমিয়ে পড়েন পুরখারাম। তিনি বলছিলেন, প্রায় সারা মাস ঘুমিয়ে থাকার পরও তাঁর শরীরে ক্লান্তি থাকে। এছাড়া প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণাও থাকে সব সময়। আপাতত তাঁর চিকিত্সা চলছে। তবে চিকিত্সায় তেমন সাড়া দিচ্ছেন না তিনি।