২৬ জুলাই জারি হওয়া ভারতীয় রেলের নির্দেশিকায় ছাঁটাই আতঙ্কে রয়েছেন রেলের কয়েক লক্ষ কর্মী। এই নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২০২০ সালের পয়লা জানুয়ারি থেকে ৩১শে মার্চের মধ্যে যে কর্মীদের চাকরির ৩০ বছর পূর্ণ হচ্ছে বা ৫৫ বছর বয়স হচ্ছে তাঁদের ৯ অগাস্টের মধ্যে নিজেদের সার্ভিস রেকর্ড বিভাগীয় প্রধানের কাছে জমা দিতে হবে। কর্মীদের আশঙ্কা, এই নির্দেশিকার জেরে আগামী দেড় বছরের মধ্যে প্রায় তিন লক্ষ কর্মীকে ছাঁটাই করবে ভারতীয় রেল। দেশজুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ক্ষুব্ধ কর্মীরা।
advertisement
মঙ্গলবার ফের নয়া নির্দেশিকা জারি করল ভারতীয় রেল। তাতে দাবি করা হয়েছে, কর্মীদের কাজের মূল্যায়ন একটি রুটিন প্রক্রিয়া। নাগরিক পরিষেবার মান ধরে রাখতে প্রতি বছরই এই মূল্যায়ন হয়।
তবে ২৬ জুলাই প্রথমবার নয়। ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বরই একই মর্মে একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল রেলওয়ে। তবে দেশজুড়ে কর্মীদের আন্দোলন শুরু হওয়ায় সেই নির্দেশিকা তখন কার্যকর করেনি রেলওয়ে।
২৬ জুলাইয়ের নির্দেশিকা নিয়ে কর্মীদের একাংশের অবশ্য দাবি, ১ লক্ষ কুড়ি হাজার কর্মী নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সরকারে এসেই তিন লক্ষ কর্মী ছাঁটাইয়ের ছক কষছে সরকার।
কর্মীদের দাবি, চালক, গেটম্যান, গার্ড, গাংম্যান- সব মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ পদ খালি রয়েছে। এই মুহুর্তে আরও তিন লক্ষ কর্মী ছাঁটাই হলে ভেঙে পড়বে রেল পরিষেবা। অবহেলিত হবে যাত্রী সুরক্ষাও।
রেলের অবশ্য দাবি,
-- ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ১,৮৪,২৬২ জনের নিয়োগ
-- বর্তমানে ২,৮৩,৬৩৭ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে
-- এর মধ্যে ১,৪১,০৬০ পদে পরীক্ষা নেওয়াও হয়ে গিয়েছে
রেলের দাবি, পণ্য পরিবহন ও যাত্রী ভাড়া থেকে আসা আয়ের ৯৮ শতাংশই কর্মীদের বেতন ও পেনশনে বেরিয়ে যায়। তাই বিবেক দেব রায়ের নেতৃত্বাধীন কমিটি রেলকে বছরখানেক আগেই কর্মী কমানোর জন্য সুপারিশ করে।