ষষ্ঠ দফার ভোটের ঠিক আগের দিন, একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে নরেন্দ্র মোদি বালাকোট এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে দাবি করেন, আকাশ মেঘলা থাকায় পাক রেডারে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান ধরা পড়বে না, এই ভেবে তিনি অভিযানে এগিয়ে যেতে বলেন। এখানেই শুরু বিতর্কের ৷
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, যাঁরা আমাকে গালি দেন তাঁরা একটা জিনিস খেয়াল করেননি। ১২ নাগাদ হঠাৎ মাথায় আসে এই আবহাওয়ায়া আমাদের কী করা উচিত। মেঘ করেছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন অভিযানের দিন কি বদলে দেওয়া যায়? আমার মাথায় দুটি জিনিস ছিল। একটা নিরাপত্তা। আরেকটা বিষয় হচ্ছে, আমি বিজ্ঞান জানি না। কিন্তু, মেঘ ছিল। বৃষ্টিও পড়ছিল। তাই পাক রেডারে ধরার না পড়ার সুযোগ ছিল। আমি ভেবেছিলাম মেঘ আমাদের সুবিধা করে দিতে পারে ৷
advertisement
প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যে শোরগোল পড়ে যায়। কারণ, বিশেষজ্ঞদের মতে, যতই মেঘ থাকুক, বিমান বা কপ্টার রেডারে ধরা পড়বেই। কারণ রেডার হল ইলেকট্রোম্যাগনেটিক সেন্সর। এটি তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ পাঠায়। সেটা আকাশে কিছু থাকলে তাতে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে। তখনই তার উপস্থিতি বোঝা যায়। আবহাওয়া খারাপ থাকার সঙ্গে রেডারের কোনও সম্পর্ক নেই।
সম্প্রতি অক্ষয় কুমারের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির সাক্ষাৎকারের কথা তুলেও খোঁচা দেন কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘দেশকে তো আম খাওয়া শেখালেন মোদিজী, এবার বলুন দেশের বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য আপনি কি করেছেন?’
একদিকে বিজ্ঞানের তত্ত্ব। আরেকদিকে নরেন্দ্র মোদির মেঘ-তত্ত্ব। যা নিয়ে দেশে জুড়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ-সমালোচনা। তারই মধ্যে ফের মোদিকে কটাক্ষ রাহুলের ৷