'অগ্নিপথ'-এর বিরুদ্ধে যখন আন্দোলনে নেমেছে আসমুদ্র হিমাচল ঠিক তখনই এই নিয়ে একের পর এক বিভ্রান্তকারী মন্তব্য করে চলেছেন নেতা মন্ত্রীরা এমনটাই অভিযোগ তোলা হয়েছে বিরোধী শিবির থেকে। দিন দু'য়েক আগে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, অগ্নিবীরদের নাপিত, ইলেকট্রিসিয়ান, চালকের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাঁর দাবি, এরফলে চার বছর পর স্বনির্ভর হতে পারবেন তাঁরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা(Agneepath)। তারমধ্যেই বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলে বসেন, অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের চার বছর পর তাঁদের বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে তাঁদের নিরাপত্তারক্ষীর কাজে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাঁদের এই মন্তব্যের প্রতিবাদ শুরু হয়েছে নেটমাধ্যমে। নেটাগরিকদের মন্তব্য, আসলে অগ্নিবীরদের নিয়ে এমনই পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের।
advertisement
আরও পড়ুন : অগ্নিপথ-এর আগুনে ঘি-ঢালছে BJP নেতাদের আলটপকা মন্তব্য? ট্যুইটে সরব কেজরিওয়াল
আরও পড়ুন : জেলায় জেলায় তুমুল ঝড়-বৃষ্টি! বজ্রাঘাতে ৩ নাবালিকার মৃত্যু রাজ্যে! বাঁকুড়ায় জখম ১৪
কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করেছেন রাহুল গান্ধি। তিনি একটি ট্যুইট পোস্টে লিখেছেন, "যাঁরা স্বাধীনতার ৫২ বছর ধরে তেরঙ্গা উত্তোলন করেননি তাদের কাছে সেনাদের সম্মান দেওয়া আশা করা যায় না। দেশের যুবকদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার উদ্যম রয়েছে, নিরাপত্তারক্ষী হয়ে বিজেপি অফিস রক্ষা করার জন্য নয়, দেশকে রক্ষা করার জন্য সেই উদ্যম।" একইসঙ্গে রাহুল যোগ করেছেন, কৈলাশবিজয়বর্গীয়র মন্তব্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নীরবতা এই অপমানের ওপর সিলমোহর লাগিয়েছে।"
একই মন্তব্য ঘিরে সরব হয়েছেন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদি। নিন্দা করেছেন বিজেপি সাংসদ বরুণ গান্ধিও। অগ্নিপথ প্রকল্পের মাধ্যমে সেনায় নিয়োগ করলে চাকরিপ্রার্থীদের কাজের নিশ্চয়তা থাকবে কি না, সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। উত্তরে তিনি বলেন, “অগ্নিবীররা বিশেষ প্রশিক্ষণ পাবেন। চার বছর চাকরি করে বেরনোর পরে ১১ লক্ষ টাকা। এছাড়াও সারাজীবন অগ্নিবীর হিসাবে নিজের পরিচয় দিতে পারবেন তাঁরা। ” এরপরেই বিতর্কিত মন্তব্য করে তিনি বলেন, “যদি বিজেপির অফিসে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করতে হয়, তাহলে অগ্নিবীরদেরকেই আগে সুযোগ দেওয়া হবে।”