এই ঘটনা সামনে আসার পরই রাহুলের নিরাপত্তা ব্য়বস্থায় গলদের অভিযোগ উঠতে শুরু করে। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রাহুল নিজেই। কংগ্রেস সাংসদের দাবি, এটা নিরাপত্তায় গাফিলতির কোনও ঘটনাই নয়। ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে মানুষের মধ্য়ে যে উৎসাহ তৈরি হয়েছে, এই ঘটনা তারই প্রতিফলন। ওই ব্য়ক্তিও উৎসাহের জেরেই তাঁকে জড়িয়ে ধরেছেন বলে দাবি করেন রাহুল।
advertisement
আরও পড়ুন: ২৪-এ কেমন ফল করবে বিজেপি? মারাত্মক ভবিষ্যদ্বাণী শশী থারুরের
পঞ্জাব পুলিশের আইজি জি এস ধিলোঁও দাবি করেছেন, রাহুল গান্ধির নিরাপত্তায় কোনও গলদ ছিল না। ওই ব্য়ক্তিকে রাহুল গান্ধি নিজেই কাছে ডেকেছিলেন বলে দাবি করেছেন পঞ্জাব পুলিশের শীর্ষ কর্তা।
পঞ্জাব পুলিশের আইজি বলেন, 'আমি নিজে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখেছি। রাহুল গান্ধি নিজেই ওই ব্য়ক্তিকে কাছে ডাকেন। তখনই তিনি রাহুল গান্ধিকে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেন। তার পরই অমরিন্দর সিং রাজা তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।'
আরও পড়ুন: তিন যুদ্ধে শিক্ষা পেয়েছে পাকিস্তান! স্বীকার করে মোদির সঙ্গে আলোচনায় বসার আর্জি শরিফের
এ দিন পঞ্জাবের টান্ডা থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু হয়। প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্য়েও রাহুল গান্ধির পদযাত্রা নিয়ে মানুষের উৎসাহে খামতি ছিল না।
এর আগে অবশ্য় ভারত জোড়ো যাত্রায় একাধিকবার রাহুল গান্ধির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত ডিসেম্বর মাসেই রাহুল গান্ধির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দেয় কংগ্রেস।
যদিও এই চিঠির পাল্টা সিআরপিএফ-এর পক্ষ থেকে কংগ্রেসকে চিঠি দিয়ে দাবি করা হয়, কংগ্রেস সাংসদই একাধিকবার নিরাপত্তার গাইডলাইনগুলি ভঙ্গ করেন। বর্তমানে রাহুল গান্ধি জেড প্লাস ক্য়াটাগরির নিরাপত্তা পান। রাহুল গান্ধিকে ঘিরে যে নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকে, তার দায়িত্ব রয়েছে সিআরপিএফ-এর উপরেই। বিষয়টি রাহুল গান্ধিকেও বার বার জানানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে সিআরপিএফ-এর পক্ষ থেকে।