বিহারে ২৪৩টি আসনের মধ্যে ২০০-র বেশি আসনে জিতে আবার ক্ষমতায় আসতে চলেছে নীতীশ কুমারের জেডিইউ এবং বিজেপির জোট। ভোটে ধরাশায়ী হয়েছে তেজস্বী যাদবের দল আরজেডি এবং কংগ্রেসের জোট। তারা ৪০-এর গণ্ডিও পেরোতে পারেনি। নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে, রাহুলের ভোটার অধিকার যাত্রা যে ১১০ আসনকে ছুঁয়ে গিয়েছে সেখানে কোনও আসনে নির্বাচনের ফল তাঁর পার্টির পক্ষে নেই। লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি বিহারে ১৩০০ কিলোমিটারের ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’ কর্মসূচি নিয়েছিলেন। ১৬ দিন ধরে তা চলেছিল। রাহুলরা ঘুরেছিলেন ২৫টি জেলার ১১০টি বিধানসভা কেন্দ্রে। বিহারে শোচনীয় পরাজয়ের প্রথম প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি বললেন, ” এই ফলাফল বিস্ময়কর। নির্বাচন শুরু থেকেই সুষ্ঠু ভাবে হয়নি।”
advertisement
বিহার নির্বাচনের ফল প্রকাশ্যে আসার পর নিজের সামাজিক মাধ্যমে রাহুল গান্ধি লেখেন,”আমি বিহারের সেই কোটি কোটি ভোটারের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই, যাঁরা মহাজোটের উপর আস্থা রেখেছেন। বিহারের এই ফলাফল সত্যিই বিস্ময়কর। নির্বাচন শুরু থেকেই সুষ্ঠু ভাবে হয়নি। এই লড়াই হল সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই। কংগ্রেস পার্টি এবং INDIA জোট এই ফলাফলের গভীর পর্যালোচনা করবে এবং গণতন্ত্র বাঁচানোর প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করবে।”
বিহার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ” আমরা বিহারের জনগণের রায়কে সম্মান জানিয়ে, সেই সব শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাব, যাঁরা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অপব্যবহার করে গণতন্ত্রকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।আমরা নির্বাচনের ফলাফল গভীরভাবে পর্যালোচনা করব এবং ফলাফলের কারণগুলি বুঝে বিস্তারিত মতামত জানাব।”
বিহারের ইতিহাসে এ বারই কংগ্রেসের ফল সবচেয়ে খারাপ। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির কথায়, ” বিহারে যেসব ভোটার মহাজোটের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমরা তাঁদের প্রতি হৃদয়ের গভীর থেকে কৃতজ্ঞ। কংগ্রেসের প্রতিটি কর্মীর কাছে বলতে চাই— আপনাদের হতাশ হওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। আপনারাই আমাদের গৌরব, আমাদের সম্মান। আপনাদের কঠোর পরিশ্রমই আমাদের শক্তি। আমরা জনগণকে সচেতন করতে কোনও ত্রুটি রাখব না। মানুষের মাঝে থেকেই সংবিধান ও গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাব। এই লড়াই দীর্ঘ — এবং আমরা এটিকে পূর্ণ নিষ্ঠা, সাহস এবং সত্যকে সঙ্গী করে লড়ব।”
