জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে মোদি সরকারের উপর চাপ বাড়াতে এবার শ্রীনগরে যাওয়ার পরিকল্পনা করে রাহুল গান্ধি। সঙ্গে সিপিএম-সিপিআই-তৃণমূল-ডিএমকে-আরজেডি-সহ আরও আট দলের নেতারা। কাশ্মীর ইস্যুতে ফের একজোট বিরোধীরা। উল্লেখ্য, জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে রাহুল গান্ধিদের না আসার পরামর্শ দিয়ে বিবৃতি জারি করে ৷
শনিবার ১১.৫০-এর ভিস্তারার বিমানে দিল্লি থেকে শ্রীনগর যান বিরোধীরা ৷ শ্রীনগর বিমানবন্দরে নামতেই পড়েন বাধার মুখে ৷ বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকা প্রশাসনের আধিকারিকরা বিরোধী নেতাদের আর এগোতে দেননি ৷ বাধা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফিরে যেতে অনুরোধ করা হয় ৷
advertisement
শুক্রবার রাতে, তাঁদের কাশ্মীর যাওয়ার কথা প্রকাশ্যে আসতেই কিন্তু জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন তাদের আপত্তির কথা জানিয়ে দেয়। বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘সীমান্তের ওপারের সন্ত্রাস, জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলার আতঙ্ক থেকে জম্মু-কাশ্মীরের মানুষকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে সরকার। দুষ্কৃতী মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এই সময় প্রবীণ রাজনৈতিক নেতাদের এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে শান্তি বিঘ্নিত হয়। রাজনৈতিক নেতাদের কাছে সহযোগিতার আরজি জানানো হচ্ছে। আবেদন করা হচ্ছে তাঁরা যেন শ্রীনগরে না যান। কারণ তাতে অন্যেরা অসুবিধায় পড়তে পারেন। বিভিন্ন এলাকায় এখনও যে বাধা-নিষেধ আছে, নেতারা এলে সেটাও লঙ্ঘন করা হবে। প্রবীণ নেতাদের বোঝা উচিত শান্তি-শৃঙ্খলা এবং মানুষের মৃত্যু রোখাই সবার আগে।’
গত ৫ অগাস্ট, জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিলের কথা ঘোষণা করে মোদি সরকার। তারপর থেকে টানা সেখানে ছিল কার্ফু । বন্ধ করে দেওয়া হয় টেলিফোন, ইন্টারনেট পরিষেবা। আটক করে রাখা হয়েছে ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতির মতো প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী-সহ বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাকে। ৩৭০ ধারা বাতিলের পর থেকে কোনও রাজনৈতিক নেতাকেই উপত্যকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাড়ি যেতে দেওয়া হয়নি কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদকে। তাঁকে শ্রীনগর বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়। একই ভাবে বাধার মুখে পড়েন ইয়েচুরি, ডি রাজাও।