অমিত শাহ সাক্ষাৎকারে বলেন, রাহুল গান্ধি জানেন না দেশের ইতিহাস (Amit Shah On Rahul Gandhi)। তিনি জানেন না ১৯৬২ সালে কার জন্য কী হয়েছিল। চিন যে সমস্ত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে ভারতের দিকে, মোদি সরকার তার কড়া জবাব দিয়েছে। লোকসভায় রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর ধন্যবাদ সূচক ভাষণ চলাকালীন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি লোকসভায় এই নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধি। অমিত শাহ বললেন, মোদি সরকার দেশের সার্বভৌমত্ত্ব রক্ষার তাগিদে ও দেশের সীমান্ত রক্ষার তাগিদে সর্বদা কাজ করে গিয়েছে। আমার মনে হয় না প্রতিবেশী দেশ সম্পর্কে এমন কোনও মন্তব্য কোনও রাজনৈতিক নেতার করা উচিত। আমি ওঁকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, আপনি সংসদে এ সব কথা বলছেন, এদিকে প্রটোকল ভেঙে চিনা প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করছেন, আপনি ওঁদের সঙ্গে কী আলোচনা করতে চান। এই ধনের মন্তব্য আসলে একজন রাজনৈতিক নেতা মৃত্যুর ইঙ্গিত দেয়।
advertisement
আরও পড়ুন - তিনশোর বেশি আসন পেয়েই উত্তর প্রদেশে ফিরছে বিজেপি, দাবি অমিত শাহের
সামনেই উত্তরপ্রদেশে নির্বাচন। কৃষক আন্দোলনের কী প্রভাব পড়বে ভোটে? পঞ্জাবেও কী কৃষক ইস্যু নিয়েই ভোট? নেটওয়ার্ক ১৮-এর গ্রুপ এডিটর-ইন চিফ রাহুল জোশীকে একান্ত সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) বললেন, কৃষকদের সমর্থন বিজেপি হারায়নি। তিনি বলেন, কৃষকরা আমাদের সঙ্গেই আছেন। কৃষকদের একটি ভুল দৃষ্টিভঙ্গি তৈরির চেষ্টা করা হয়েছিল,কিন্তু তা সফল হয়নি।
আরও পড়ুন: বিজেপি-র আমলেই দেশ নিরাপদ, কোথায় এগিয়ে আদিত্যনাথ, বড় দাবি অমিত শাহের
দীর্ঘদিন ধরে উত্তাল কৃষক আন্দোলন দেখেছে দেশ। দিল্লির একাধিক সীমান্তে নয়া কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে টানা আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন কৃষকরা। হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তর প্রদেশের কৃষকদের আন্দোলন চলেছে দীর্ঘ দিন। সেই নিয়ে উত্তাল হয়েছে জাতীয় রাজনীতি। শেষ পর্যন্ত সংসদে কৃষি আইন বাতিলের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে নয়া কৃষি আইন। বিজেপি বিরোধী দলগুলির তরফ থেকে বারবারই এই কৃষকদের সরকার বিরোধিতার কথা বলে বলা হয়েছে, পঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশে কৃষকরা মুখ ফিরিয়েছেন বিজেপির থেকে। তার প্রভাব দেখা যাবে বিধানসভা নির্বাচনে। সেই কথা কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, কৃষকদের সমর্থন এখনও বিজেপির প্রতিই আছে।