এদিন বৈঠকের পর রাহুল গান্ধি বলেন, "ভারতের উন্নতির জন্য আমরা একসঙ্গে লড়াই করব।" তাঁর ট্যুইট, "আদর্শের এই লড়াইয়ে বিরোধীদের ঐক্যের পথে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করা হল। ভারতের জন্য আমরা একসঙ্গে লড়াই করব।" প্রসঙ্গত, গত বাজেট অধিবেশনে রাহুল গান্ধি ইস্যুতে এক জোট হতে দেখা গিয়েছিল বিরোধীদের।
advertisement
এদিন নীতীশ কুমার এবং তেজস্বী যাদবের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও৷ বৈঠক শেষে তাঁর মন্তব্য়, " স্বাধীনতার পরে এই সরকার সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত। ফলে সব দলের উচিত একজোট হয়ে এই সরকারকে হঠানো।" বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কথায় , "যত বেশি সংখ্যক বিরোধী দল একজোট হওয়ার চেষ্টা করছি।"
চলতি মাসেই চেন্নাইয়ে স্ট্যালিনের ডাকে সামাজিক ন্যায় বিচার সম্মেলনে যোগ দেন বিরোধীরা। সেটিকে বিরোধী ঐক্যের পথে একধাপ বলে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেই সম্মেলনে আমন্ত্রিত ছিলেন তৃণমূলও। মমতা শিবির থেকে সম্মেলনে যোগ দেন দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বিরোধীদের একজোট করার প্রচেষ্টা ডিএমকে।
রাহুল গান্ধির সাংসদ পদ খারিজ হওয়ার পরে বিরোধী ঐক্যের যে হাওয়া তৈরি হয়েছে, তা আরও জোরাল করতে ডিএমকে-র নেতা ও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের ডাকে অনুষ্ঠিত হয় বিরোধী নেতা এবং মুখ্যমন্ত্রীদের এই সম্মেলন।
অংশগ্রহণকারীদের সুবিধার্থে ওই সম্মেলনে কিছু নেতা সরাসরি যোগ দেন, অনেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন। এসপি-র অখিলেশ যাদব, আরজেডি-র তেজস্বী যাদব, আপ-এর সঞ্জয় সিংহ, জেএমএম-এর হিমন্ত সোরেন, বিআরএস-এর কে কেশব রাও, এনসি-র ফারুক আবদুল্লা-র মতো নেতারা যোগ দেন সম্মেলনে। কংগ্রেস, আপ, এনসিপি-সহ মোট ১৯টি দলের নেতা উপস্থিত ছিলেন এই সম্মেলনে।
রাজীব চক্রবর্তী