ভোটের মুখে ফের রাফাল বিতর্ক। একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, দুটি ফরাসি সংস্থা, দাসো এবং এমবিডিএ, ২০১৬ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ভারত সরকারের সঙ্গে যে অফসেট চুক্তি করেছিল তাতে ব্যতিক্রমী এবং অভূতপূর্ব ছাড় দেয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি।
দেশীয় সংস্থাকে দিয়ে যন্ত্রাংশ তৈরি করানোর জন্য যে চুক্তি, সেটই হল অফসেট চুক্তি। বিরোধীদের দাবি, মোদি ঘনিষ্ঠ ভারতীয় এক শিল্পপতির সংস্থাকে একতরফাভাবে অফসেটের বরাত দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, এর জন্যই বদলে ফেলা হয় অফসেট-নীতি। ইংরেজি দৈনিকেও চাঞ্চল্যকর দাবি, অফসেট চুক্তিতে অভূতপূর্ব ও ব্যতিক্রমী ছাড় দেয় মোদির নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটি। কী সেই ছাড়? ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, যে দুই ফরাসি সংস্থার সঙ্গে অফসেট চুক্তি হয়েছিল তাদের আয়-ব্যয়ের হিসেব দেখানো থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল ৷ অফসেট চুক্তির জন্য কোনওরকম প্রভাব খাটালে বা ঘুষ নিলে আর্থিক জরিমানার যে শর্ত তাতেও ছাড় ৷ অফসেট চুক্তিতে ফরাসি দুই সংস্থাকে প্রথম তিন বছরে কোনও টাকাই দিতে হবে না। সপ্তম বছরে গিয়ে দিতে হবে ৫৭ শতাংশ টাকা।
advertisement
প্রতিবেদনে দাবি, এরকম ব্যতিক্রমী ছাড় দেওয়া নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েন তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা ডিফেন্স অ্যাকুইজিশন কাউন্সিলের প্রধান মনোহর পর্রীকর। তিনি বিষয়টি নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির কানে তোলেন। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সেই কমিটিই ছাড়ের অনুমতি দেয়।
বিরোধীদের দাবি, মোদি সরকার, ফরাসি সংস্থাগুলিকে বাধ্য করেছিল, মোদি ঘনিষ্ঠ শিল্পপতির সংস্থাকে অফসেট পার্টনার করতে। সেই মতো অফসেট চুক্তিতেও বদল করা হয়। যদিও বিজেপি এই সব অভিযোগকে প্রথম থেকেই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।