গত কয়েকদিন ধরেই কংগ্রেসের সঙ্গে অদিতির দূরত্ব বাড়ছিল৷ দলবিরোধী কাজের অভিযোগে কয়েকদিন আগেই অদিতির সদস্যপদ খারিজ করার জন্য বিধানসভার অধ্যক্ষকে অনুরোধ করেছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব৷ এর পরেই নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকে কংগ্রেসের নাম এবং প্রতীক সরান অদিতি৷ এবার দলের সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকেও তিনি বেরিয়ে গিয়েছেন বলে খবর৷
তবে দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব নিয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ অদিতি৷ তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে গোটা বিশ্ব করোনা মোকাবিলায় ব্যস্ত৷ এই পরিস্থিতিতে তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেল নিয়ে আলোচনা না করে পরিযায়ী শ্রমিকদের সাহায্য করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি৷
advertisement
কয়েকদিন আগে প্রবাসী শ্রমিকদের ফেরানোর জন্য এক হাজার বাসের ব্যবস্থা করার দাবি করে কংগ্রেস৷ তা নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের সঙ্গে কংগ্রেসের রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়৷ সেই সময় কংগ্রেসের দাবির সত্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ট্যুইট করেছিলেন অদিতি৷ যার ফলে অস্বস্তিতে পড়তে হয় দলকে৷ এখানেই শেষ নয়, তিনি প্রশ্ন করেন রাজস্থানের কোটায় যখন উত্তর প্রদেশের কয়েক হাজার পড়ুয়া আটকে ছিল, তখন কেন বাসের ব্যবস্থা করে তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা করেনি রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার? অদিতি লেখেন, 'সেই সময় যোগী আদিত্যনাথ রাতারাতি বাসের ব্যবস্থা করে পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিল৷ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীও যার প্রশংসা করেছিলেন৷'
এর আগেও অবশ্য গত বছর অক্টোবর মাসে দলীয় হুইপ উপেক্ষা করেই বিধানসভায় হাজির হন অদিতি৷ অথচ সেদিন লখনউতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধি৷
ইতিমধ্যেই অদিতির নিরাপত্তা বাড়িয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার৷ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গেও তিনি দেখা করেছেন৷ তবে তাঁর বিজেপি-তে যোগ দেওয়া নিয়ে জোর জল্পনা ছড়ালেও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্ম শিবিরে নাম লেখাননি অদিতি৷ যেখানকার সাংসদ দলের সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি নিজে, সেই রায়বরেলিতে নিজেদের গড় ধরে রাখাই কংগ্রেসের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ৷