বৃহস্পতিবার গুরুগ্রামের অভিজাত সুশান্ত লোক এলাকায় নিজেদের বাড়িতেই রাধিকাকে গুলি করে হত্যা করেন তাঁর বাবা৷ রাধিকার বাবাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ শুক্রবার রাধিকার বাবাকে একদিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে গুরুগ্রামের একটি আদালত৷
ময়নাতদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৫ বছর বয়সি ওই টেনিস খেলোয়াড়ের শরীরে তিনটি বুলেট মিলেছে৷ তার মধ্যে একটি বুলেট মিলেছে ঘাড়ের নীচে৷ আরও একটি বুলেট পাওয়া গিয়েছে শরীরের পিছনের দিকে কোমরের উপরে৷ আরও একটি বুলেট ওই তরুণীর শরীর ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়৷ সবমিলিয়ে ওই টেনিস খেলোয়াড়ের শরীরে চারটি বুলেটে ক্ষত পাওয়া গিয়েছে৷
advertisement
তদন্তকারী এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক থেকেই রাধিকাকে পর পর গুলি করেছিলেন তাঁর বাবা দীপক যাদব৷ তিনি কতগুলি বুলেট নিজের কাছে মজুত করে রেখেছিলেন, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷
কেন নিজের মেয়ে রাধিকার বাবা এ ভাবে খুন করলেন, তা নিয়ে এখনও রহস্য কাটেনি৷ এ দিনও আদালতে পেশ করার সময় রাধিকার বাবা দীপক যাদবকে এই প্রশ্নই করেন সাংবাদিকরা৷ যদিও আদালতে ঢোকা বা বের করার সময় মুখে কুলুপ আঁটেন রাধিকার বাবা৷ তবে এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক তদন্তে ইঙ্গিত, রাধিকা যে টেনিস অ্যাকাডেমি চালাতেন, সেটিকে কেন্দ্র করেই মেয়ের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছিলেন দীপক৷
পুলিশও জানিয়েছে, তাঁরা রাধিকাকে হত্যার সবরকম সম্ভাব্য কারণই খতিয়ে দেখছে৷ রাধিকাকে তাঁর বাবা যখন খুন করছিলেন, তখন তাঁর মায়ের ভূমিকা কী ছিল, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷