আরও পড়ুন- ২২ বছর ধরে কর্মরত একই সংস্থায়, মালিকের তরফে মার্সিডিজ বেঞ্জ উপহার কর্মীকে
“আপনি যেখানেই থাকবেন সেখানকার শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। মাদ্রাসায় থাকলে হিজাব-খিজাব যা খুশি পরুন। আপনারা মাদ্রাসাগুলিতে পছন্দের পোশাক পরতে পারেন এবং সেখানকার শৃঙ্খলা অনুসরণ করতে পারেন কিন্তু দেশের স্কুল এবং কলেজগুলির শৃঙ্খলায় হস্তক্ষেপ করার অনুমতি আপনাদের দেওয়া হবে না,” হিজাব বিতর্কে বলেন প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। সাংসদের বক্তব্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতার উল্লাসও ছিল চোখে পড়ার মতোই। এখানেই থেমে থাকেননি প্রজ্ঞা। মুসলিম সম্প্রদায়ের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের মধ্যে বিবাহের বিষয়টি নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। সাধ্বী প্রজ্ঞা বলেন, “যেখানে হিজাব পরতে হবে, সেখানে আপনি খিজাব (চুলের রঙ) করেন এবং যেখানে খিজাব করতে হবে সেখানে উল্টোটা করেন। আপনি আপনার মুখ দেখান বা না দেখান কী এসে যায়!”
advertisement
কর্ণাটকে বিতর্কের পর মধ্যপ্রদেশও হিজাব পরার বিষয়টিকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। হিজাব (Hijab Row) স্কুলের পোশাকের অংশ হতে পারে না বলেই জানিয়েছিলেন স্কুল শিক্ষা মন্ত্রী। তারপরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানান যে হিজাব নিষিদ্ধ করার কোনও পরিকল্পনা নেই রাজ্য সরকারের।
আরও পড়ুন- জিতলে বিনামূল্যে এক কিলো করে ঘি দেবেন অখিলেশ, শাহর প্রতিশ্রুতি হোলিতে ফ্রি গ্যাস
সম্প্রতি সাতনায় পরীক্ষা দিতে হিজাব পরে যাওয়ার জন্য এক ছাত্রীকে সতর্ক করা হয়। গত সোমবার, দাতিয়ার একটি কলেজে হিজাব পরা দুই ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে ডানপন্থীদের বিরুদ্ধে। হিজাবের (Hijab Row) মতো পোশাক যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেউ না পরে আসে এই নিয়ে কলেজের অধ্যক্ষকে হুমকিও দেয় তারা।
এই ঘটনার পরেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করতে হয় এবং এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশও দেন তিনি। অন্যদিকে, কংগ্রেসের মুখপাত্র অজয় সিং যাদব সাধ্বী প্রজ্ঞার এমন মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন। শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য যে কোনও সম্প্রদায়ের মহিলাদের সম্পর্কে অসম্মানজনক এবং অবমাননাকর শব্দ ব্যবহার করা নিন্দনীয় বলেই জানিয়েছেন তিনি।