পুরীর এই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। প্রশাসনকে দ্রুত আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, ঘটনার সময় পবিত্র নরেন্দ্র জলাশয়ে নিয়মানুসারে ‘চাপা খেলা’ (Chapa Khela) চলছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে এক নাবালক রয়েছে। দুর্ঘটনার পরে গুরুতর আহত অবস্থায় কটকের এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। বাকি দু’জন ভুবনেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মারা গিয়েছেন। আহতদের প্রথমে পুরীর ডিস্ট্রিক্ট হেডকোয়ার্টার হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছিল, তাঁদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে এসসিবি মেডিক্যাল কলেজ এবং ভুবনেশ্বরের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, বাজি ফাটানো চলছিল রীতি অনুযায়ী। সেই সময়ই বাজি বিস্ফোরণ ঘটে। সেই আগুনের ফুলকি গিয়ে পড়ে পুণ্যার্থীদের উপরে। অনেকেই গায়ে আগুন লেগে যাওয়ায় পবিত্র এই পুকুরের জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন প্রাণ বাঁচাতে। ঘটনার কথা মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন, তাঁরাই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার প্রাথমিক ব্যবস্থা করেন।
অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এক ব্যক্তি নিজের উদ্যোগে এই বিপুল পরিমাণ বাজি একজায়গায় জমা করেছিলেন, সেখানে আগুন লেগে যাওয়ায় এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল। তিনি কী করে এই বাজি জমা করার অনুমতি পেলে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাঁর দাবি, প্রতি বছর ‘ভানুরি খেলা’ দেখতে বহু মানুষ একত্রিত হব এই চন্দন যাত্রার শুভক্ষণে। কিন্তু এমন ঘটনা কখনও ঘটেনি।