আসল ঘটনার সূত্রপাত গত ২৯ সেপ্টেম্বর৷ অভিযুক্ত বাবা সুজিত সিংয়ের চার কন্যা৷ জানা যায় বড় মেয়েকেই জলে ঠেলে ফেলে দেয় বাবা সুজিত৷ স্কুলছুট কিশোরীকে খুন করার অভিযোগ ওঠে সুজিতের বিরুদ্ধে৷ জানা যায় মা এবং বাকি তিন বোনের চোখের সামনেই নাকি বড় মেয়েকে জলে ঠেলে ফেল দেয় বাবা৷ শিউরে ওঠার ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়৷
advertisement
মৃত্যুর মুখ থেকে কীভাবে ফিরে আসে কিশোরী? গত ১ মাস ধরেই বা কেন বিপাত্তা ছিলেন তিনি? রবিবার মিডিয়ার সামনে খোলসা করে তরুণী জানালেন কীভাবে জলে পড়েও বেঁচে যান তিনি৷
তরুণী জানিয়েছে, জলের প্রবল স্রোতে ভেসে যাওয়ার সময় তার হাতের দড়ি আলগা হয়ে যায়। একসময় তার মাথা জলের মধ্যে বেরিয়ে থাকা লোহার রডে ধাক্কা লাগে৷ তখন সে সেটা ধরেই নালার পাড়ে উঠে আসে। তিনজন পথচারী তাকে জলে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখে উদ্ধার করে৷ যদিও এই দুই মাস তরুণী কোথায় ছিল তা সে জানাতে চায়নি৷ তবে সে বলেছে অসুস্থ ছিল এবং চিকিৎসা নিচ্ছিল।
আরও পড়ুন: রবিবারেই সূর্য-মঙ্গলের গোচরে আদিত্য–মঙ্গল রাজযোগ! ভাগ্যের বন্ধ দরজা খুলে যাবে ৪ রাশির, টাকার বৃষ্টি
এই ভয়াবহ ঘটনার পরও, মেয়েটি তার বাবার মুক্তির আবেদন করেছে। কাঁদতে কাঁদতে তরুণী জানায়, ‘আমার ছোট বোনদের দেখাশোনা করার কেউ নেই’৷ কিশোরীর আরও অভিযোগ, ঘটনার সময় তার বাবা নেশাগ্রস্থ ছিলেন৷ এমনকী তার মা-ই নাকি তার বাবাকে উৎসাহ দিয়েছিল কিশোরীকে হত্যা করতে৷ তবে পরিবারকেউ আর বিশ্বাস করে না কিশোরী৷ তাই পুলিশী নিরাপত্তার দাবি তার৷
তার ফিরে আসা এবং বিস্তারিত বর্ণনার পর, পুলিশ আবার মামলাটি খতিয়ে দেখছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তদন্ত এগোলে খুনের মামলা থেকে চেষ্টাকৃত খুনে বদলানো হতে পারে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য পঞ্জাবে৷
