শুক্রবার দুপুরে স্টুডিও-তে বসে খবর পড়ছিলেন প্রীতি ৷ আর তাঁর সঙ্গে ফোনে ছিলেন রিপোর্টার রবি ৷ দিল্লির পালমে এক শহিদ জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছিলেন রবি ৷ সেই সময়ই স্ক্রিনে ভেসে উঠছিল একের পর এক বিস্ফোরণের সেই মর্মান্তিক ছবি, শহিদদের পরিবারের হাহাকার, ছোট ছোট শিশুর কান্নার ছবি ৷ তা দেখেই স্থির থাকতে পারেননি প্রীতি ৷ স্টুডিও-তে বসে খবর পড়তে পড়তেই আবেগবিহ্বল হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রীতি ৷ রবিকে তিনি বলেন, ‘শহিদ জওয়ানদের পরিবারের লোকেরা একাধিক প্রশ্ন তুলছেন ৷ আর সেই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর একমাত্র ভারত সরকারই দিতে পারবে ৷ যখন কোনও পরিবার থেকে একজন সীমান্তে দেশবাসীকে রক্ষার স্বার্থে লড়াই করেন ৷ তখন শুধু একজনই নয় ৷ গোটা পরিবারই জড়িয়ে থাকেন তাঁদের সঙ্গে ৷ আর আজ কতটা কঠিন এই বাস্তব পরিস্থিতি মেনে নেওয়া তাঁদের জন্য ৷ তা আমি শব্দে বর্ণনা করতে পারব না ৷’
advertisement
এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন প্রীতি ৷ কাঁদতে কাঁদতেই তিনি রবিকে বলতে থাকেন, ‘রবি আপনার পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটা আমাকে অনেক কিছু মনে করিয়ে দিচ্ছে ৷ আমি যখন ছোট ছিলাম তখন সেনা জওয়ানদের দেখে হেসে টাটা করতাম ৷ তা দেখে জওয়ানেরাও সায় দিতেন মৃদু হেসে ৷ তাঁরাও আমাকে টাটা করতেন ৷ কিন্তু আজ এঁদের কফিন বন্দি শবদেহ দিল্লির রাজপথ দিয়ে যখন যাবে....আমার ভাষা নেই সেইসমস্ত নিয়ে কথা বলার ৷’