ভ্যালেন্টাইনস ডে-র দিন স্তব্ধ হয়েছিল গোটা দেশ। পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। রক্তাক্ত সেই দিনের কথা এখনও ভুলতে পারেনিন দেশের মানুষ। এরই মধ্যে চাঞ্চল্যকর এক তথ্য উঠে এল এনআইএ-র তদন্তে।
ভারতীয় গোয়েন্দারা আগেই সন্দেহ করেছিলেন, সেই পৈশাচিক হামলার পিছনে শুধু জঙ্গিদের হাত ছিল না। বরং অন্য কেউই জড়িত ছিল। শেষ পর্যন্ত সন্দেহ সত্যি হল। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। এখনও পর্যন্ত পুলওয়ামা হামলায় জড়িত সন্দেহে সব মিলিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করল এনআইএ।
advertisement
আরও পড়ুন- সহায়ক মূল্যের দাবিতে আন্দোলন চলবে, মোদি সরকারের চিন্তা বাড়িয়ে জানালেন কৃষকরা
পুলওয়ামা হামলায় ব্যবহৃত ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইইডি (IED) তৈরি করার জন্য অ্যামাজন থেকে একাধিক রাসায়নিক পদার্থ কিনেছিল অভিযুক্তরা। ১৯ বছর বয়সী ওয়াজ-উল-ইসলাম এবং ৩২ বছরের মহম্মদ আব্বাস রাথারকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। ইসলাম শ্রীনগরের বাসিন্দা, রাথার পুলওয়ামার।
এনআইএ কর্তারা তদন্তের পর জানতে পেরেছেন, ইসলাম নিজের অনলাইন শপিং অ্যাকাউন্ট থেকে আইইডি, ব্যাটারি এবং বিস্ফোরক তৈরির মালমশলা কিনেছিল। তার পর সেই সব রাসায়নিক সরবরাহ করেছিল পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদকে। জেরার মুখে এসব কথা সে স্বীকার করেছে বলেও দাবি করেছে এনআইএ। অন্যদিকে, রাথার নামের সেই ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই জইশের হয়ে কাজ করছে বলে জানতে পেরেছে এনআইএ।
তদন্তে গোয়েন্দারা আরও জানতে পেরেছেন, ২০১৮ সালের এপ্রিল-মে মাসে কাশ্মীরে এসেছিল জইশ-ই-মহম্মদের সদস্য তথা আইইডি বিশেষজ্ঞ মহম্মদ উমর। তাঁকে নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছিল রাথার। এমনকী পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলা করা জঙ্গি আদিল আহমদ দারকেও বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিল রাথার।