উল্লেখ্য, সংসদের শীতকালীন অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি হবে চলতি সপ্তাহেই। আজ শেষ সপ্তাহের প্রথম দিন সকাল থেকেই শাসক বিরোধী তরজা তুঙ্গে। গত সপ্তাহে বেশিরভাগ দিনই পণ্ড হয়েছে রাজ্য। আজ সভা শুরু হওয়ার আগে বিরোধী নেতাদের বৈঠকে ডাকেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। শাসক বিরোধী আলোচনার মাধ্যমে যাতে সংসদে আচলবস্থা কাটে সেই নিয়ে সমাধানসূত্র খুঁজতে বৈঠক ডাকা হয়। যদিও সরকারের এই প্রচেষ্টাকে বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা হিসেবেই দেখছে তৃণমূল কংগ্রেস।বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরানোর চেষ্টার অভিযোগে প্রহ্লাদ যোশীকে পাল্টা চিঠি দিয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল, সিপিএম এবং সিপিআই। তাদের অভিযোগ, যেভাবে বিরোধী সাংসদরা এক হয়ে সাসপেন্ড করার বিরুদ্ধ প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন, তাতেই ভয় পেয়েছে সরকার। আর সেই কারণেই বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: একজনের পদত্যাগের দাবিতেই এখনও 'অচল' সংসদ, কেন এতটা মরিয়া বিরোধীরা?
এদিকে, শীতকালীন অধিবেশনের শেষ সপ্তাহে দলের রণকৌশল সাজাতে সকালেই সংসদ ভবনে দলীয় কার্যালয়ে তৃণমূলের সংসদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়। দলের লোকসভা এবং রাজ্য সভার সমস্ত সংসদকে উপস্থিত থাকতে বলা হয় বৈঠকে। একই সঙ্গে সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীর বৈঠকের আগে বিরোধী শিবিরকে নিয়ে বৈঠক করেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা মল্লিকাজুর্ন খড়গে।এদিকে সরকার চলতি সপ্তাহেই দুটি বিল আনতে চায়। মেয়েদের বিয়ের বয়স বৃ্দ্ধির পাশাপাশি আধারকার্ডের সঙ্গে ভোটারকার্ডের লিঙ্ক করা নিয়েও চলতি সপ্তাহে বিল আসতে চলেছে।
আরও পড়ুন: কলকাতায় পুর-সন্ত্রাসের অভিযোগ, আদালতে একযোগে BJP-CPIM! সব নজর ২৩-শে
চলতি শীতকালীন অধিবেশনেই বিলটি পাস করিয়ে নিতে চায় মোদি সরকার। তবে এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক না করে ঐচ্ছিক হিসেবেও চালু করা হতে পারে। একইসঙ্গে নতুন ভোটারদের নাম নথিভুক্ত করার দিনও বাড়ানো হতে পারে। বর্তমানে প্রতি বছর ১ জানুয়ারি নতুন ভোটারদের ভোটার তালিকায় নাম তোলা হয়। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তি ২ জানুয়ারি ১৮ বছরে পা দিলে তাঁকে পরের বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এবার থেকে ১ জানুয়ারির পাশাপাশি ১ এপ্রিল, ১ জুলাই, ১ অক্টোবর দিনগুলিতেও ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করার চিন্তাভাবনা রয়েছে কেন্দ্রের।