রবিবার সকালে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার মূল কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং-এ পরিবর্তনের কারণেই এই দুর্ঘটনা। তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমরা আজ ট্র্যাকটি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করব। সমস্ত মৃতদেহ সরানো হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য বুধবার সকালের মধ্যে পুনরুদ্ধারের কাজ শেষ করা যাতে ট্রেনগুলি চলতে শুরু করতে পারে।রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশনার শীঘ্রই তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
advertisement
জানা যাচ্ছে, ভুল লাইনে ঢুকে পড়েছিল আপ ১২৮৪১ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এর জেরেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। জানা যায়, বাহানগা বাজার স্টেশন অতিক্রম করার পর লুপ লাইনে ঢুকে পড়েছিল চেন্নাইগামী এক্সপ্রেস ট্রেনটি। ভুবনেশ্বরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থলে ১২০০ জন কর্মী ছাড়াও ২০০টি অ্যাম্বুলেন্স, ৫০টি বাস এবং ৪৫টি মোবাইল হেলথ ইউনিট কাজ করছে। ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে বেশিরভাগ যাত্রী বাড়ি পৌঁছেছেন। তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করাই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এরই মধ্যে রেল মন্ত্রীর ইস্তফা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। রেল মন্ত্রী জবাবে বলেন, এটা রাজনীতির সময় নয়।