পূজা বর্মা নামে ওই মহিলার অভিযোগ, তাঁর স্বামী একটি গ্রুপ লোনের কিস্তির টাকা নির্দিষ্ট সময়ে বেসরকারি ব্যাঙ্কে জমা দিতে পারেননি৷ সেই কারণেই ব্যাঙ্কের কয়েকজন কর্মী তাঁকে জোর করে ব্যাঙ্কের ভিতরে আটকে রাখেন৷ এর পর স্ত্রীকে উদ্ধার করতে পুলিশ ইমার্জেন্সি নম্বর ১১২-তে ফোন করেন ওই মহিলার স্বামী রবীন্দ্র বর্মা৷ তার পর পুলিশ এসে ওই মহিলাকে ব্যাঙ্কের ভিতর থেকে উদ্ধার করে৷ মহিলার স্বামী অভিযোগ করেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত তিনি কিস্তির টাকা মেটাবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁর স্ত্রীকে ব্যাঙ্ক থেকে ছাড়া হবে না বলেও হুমকি দেওয়া হয়৷
advertisement
এই অভিযোগ পেয়েই ওই ব্যাঙ্কে হাজির হয় পুলিশের একটি দল৷ কিন্তু পুলিশ এসেছে বুঝতে পেরেই ওই মহিলাকে ব্যাঙ্ক থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়৷
ওই মহিলার স্বামীর অভিযোগ, দুপুর ১২টা থেকে তাঁর স্ত্রীকে ব্যাঙ্কে আটকে রাখা হয়৷ তিনি বার বার পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করলেও ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কোনও কথাই শুনতে রাজি হয়নি৷ এর পর বাধ্য হয়েই তিনি পুলিশের কাছে সাহায্য চান৷
ওই মহিলার দাবি, তিনি ব্যাঙ্ক থেকে ৪০ হাজার টাকার একটি পার্সোনাল লোন নিয়েছিলেন৷ যার প্রতি মাসের কিস্তি ছিল ২১২০ টাকা৷ মহিলার দাবি তিনি ১১টি কিস্তি মিটিয়েও দিয়েছেন৷ কিন্তু ব্যাঙ্কের খাতায় মাত্র ৮টি কিস্তি দেওয়ার কথা লেখা রয়েছে৷ ব্যাঙ্কের দুই এজেন্ট কিস্তির টাকা ঠিক মতো জমা দেননি বলেও অভিযোগ করেন ওই মহিলা৷ গত ২৮ তারিখ ওই ব্যাঙ্কের এক এজেন্ট তাঁদের বাড়িতে এসে কিস্তির টাকা চান৷ ওই মহিলার দাবি, টাকা দিতে না পারায় তাঁকে এবং তাঁর স্বামীকে ব্যাঙ্কে নিয়ে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয়৷
যদিও সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ৷ ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের দাবি, গত সাত মাসের মধ্যে একটিও কিস্তির টাকা মেটাননি ওই মহিলা৷ সেই কারণেই তাঁদের ব্যাঙ্কে ডাকা হয়েছিল৷ তবে কোনওরকম জোরাজুরি করা হয়নি৷