সরকারের তরফ থেকে অনুমতি পাওয়ার পরই এ মাস থেকেই নতুন নোট ছাপার কাজ শুরু হয়েছে ৷ সম্প্রতি এক ইংরেজি দৈনিকে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়, ইতিমধ্যেই সরকারি টাঁকশালে ২০০ টাকার নোট ছাপার কাজ অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছে ৷
২০০০ টাকার নোট খুচরো করাতে প্রতিনিয়ত সমস্যায় পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। নতুন ১০০০ টাকার নোট নিয়ে জল্পনা দেখা দিলেও সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এখনই বাজারে আসছে না ১০০০ টাকার নোট ৷ এবার খুচরোর সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন ২০০ টাকার নোট চালু করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
advertisement
জানা গিয়েছে, নোটগুলিতে থাকবে নতুন সিকিউরিটি ফিচার ৷ সহজে জাল করা যাবে না ২০০ টাকার নোট বলেও দাবি করা হয়েছে ৷
এর কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছিল প্রত্যেক তিন থেকে চার বছর অন্তর বিশেষ সুরক্ষা চিহ্ন বদলের কথা ভাবা হচ্ছে ৷ ৮ নভেম্বর ২০১৬ সালে কালো টাকা দূর করতে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের ঘোষণা করেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ কিন্তু নোট বাতিলের পরবর্তী সময়েও দেশ থেকে জাল নোটের অস্তিত্ব মুছে ফেলা সম্ভব হয়নি। গত কয়েক মাসে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে ৷ নোটগুলি এত নিখুঁতভাবে জাল করা হয়েছে যে সাধারণ মানুষের পক্ষে তা যাচাই করা প্রায় অসম্ভব ৷ সীমান্ত ধরে ভিনদেশ থেকে ভারতে নোট পাচার হওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। জাল নোট রুখতেই নিরাপত্তা বৈশিষ্টে পরিবর্তন আনার কথা ভাবা হয়।
কিন্তু মনে করা হচ্ছে এর জেরে বাজারে ফের নোটের সমস্যা দেখা যেতে পারে ৷ তাই নতুন ২০০ টাকার নোট বাজারে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷