জানা গিয়েছে, দিন তিনেক আগে পানিপথের শ্রীজন পাবলিক স্কুলের অধ্যক্ষ রীনা, এক শিশুকে হোমওয়ার্ক না করার জন্য সাংঘাতিক তিরস্কার করেন। এখানেই ক্ষান্ত হননি, তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য নিজের গাড়ির ড্রাইভারকে ফোন করে ডেকে পাঠান। এরপর চালক শিশুটিকে স্কুলের উপরের ঘরে নিয়ে গিয়ে জানালায় দড়ি দিয়ে উল্টো করে ঝুলিয়ে দেন। খানিক্ষণ এভাবে রাখার পরে তাকে বারবার থাপ্পড় মারেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দিঘা জগন্নাথ মন্দিরের মহাপ্রসাদ! পুজোয় কোথায় মিলবে সুস্বাদু নিরামিষ খাবার? বেস্ট অপশন জানুন
কিন্তু ঘটনার কোথা জানাজানি হল কীভাবে? পুলিশ জানিয়েছে, ওই শিক্ষিকা গোটা ঘটনার একটি ভিডিও করে তা সামাজিক মাধ্যমে আপলোড করে দেন। তাতেই ঘটনা সামনে চলে আসে। ভিডিও দেখে কান্নায় ভাঙে পড়েন বাবা, ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে গোটা পরিবার। শিশুটির মা জানিয়েছেন, তিনি ইনস্টাগ্রামে ছেলেকে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখার ভিডিওটি দেখতে পান।
যদিও ঘটনার দায় সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত অধ্যক্ষা রীনা। বলেন, তিনি নাকি এই ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না। এরপর পরিবারের সদস্যরা চালকের বাড়িতে যান, কিন্তু সেখানে কাউকে পায়নি। সেখান থেকে পরিবার সরাসরি মডেল টাউন থানায় গিয়ে জানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ অভিযুক্ত চালকের বিরুদ্ধে জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট, ২০১৫ এর ধারা ১১৫, ১২৭(২), ৩৫১(২) বিএনএস এবং ৭৫-এর অধীনে মামলা দায়ের করেছে। স্কুলের অধ্যক্ষের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে তাকে এক ছাত্রকে চড় মারতে দেখা যাচ্ছে। অধ্যক্ষার দাবি, ছাত্রটি দুই বোনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল। তাই তিনি পরিবারকে বিষয়টি জানান এবং শিশুটিকে শাস্তি দেন।
মডেল টাউনের এসএইচও ফোনে জানিয়েছেন, শিশুদের অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে, স্কুলের অধ্যক্ষ এবং চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এসএইচও আরও জানান, যে চালককে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চালানো হয়েছে, তাকে পাওয়া যায়নি। যদিও পুলিশের দাবি গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত চালক। বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করা হচ্ছে এবং দোষী সাব্যস্ত যে কারও বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।