প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৮ জুলাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। বৃহস্পতিবার জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর তারপরেই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধির নির্দেশে 'বিরোধী শিবিরের মুখ' বাঁচতে আসরে নেমে পড়লেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। এদিনই তিনি দেখা করেছেন এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারের সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন এরপর তিনি কথা বলবেন তৃণমূল, শিবসেনা ডিএমকে সহ অন্যান্য দলের সঙ্গে।
advertisement
ভারতের নির্বাচন কমিশন বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে এই নির্ঘণ্ট। কমিশন আরও জানিয়েছে, ভোট গণনার প্রয়োজন পড়লে তা ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে। নতুন রাষ্ট্রপতি শপথ নেবেন ২৫ জুলাই, জানিয়েছে কমিশন। ভারতের বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৪ জুলাই। ২০১৭ সালে, বিজেপি দেশের সর্বোচ্চ এই পদের জন্য বিহারের তৎকালীন রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দকে বেছে নিয়েছিল।
বিরোধী শিবির বিভক্ত হয়ে যায় এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে৷ সেবছর ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রামনাথ কোবিন্দ ভারতের ১৪ তম রাষ্ট্রপতি হন। বিরোধী প্রার্থী তথা লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমারকে পরাজিত করেন তিনি। মোট ভোটের ৬৫.৬৫ শতাংশ পেয়েছিলেন রামনাথ। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী কলেজের সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হন, যার মধ্যে সংসদের উভয় কক্ষেরই নির্বাচিত সদস্য এবং সমস্ত রাজ্যের বিধানসভার পাশাপাশি জাতীয় রাজধানী দিল্লি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল পুদুচেরি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় ভোট প্রচারে তৃণমূলের নয়া অস্ত্র ‘ত্রিপুরা ফাইলস’
সংসদের উভয় কক্ষের নির্বাচিত সদস্য এবং দিল্লি ও পুদুচেরির পাশাপাশি সমস্ত রাজ্যের আইনসভার নির্বাচিত সদস্যদের ভোটদানের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাজ্যসভা, লোকসভা ও বিধানসভার মনোনীত সদস্যরা এবং বিধান পরিষদের সদস্যরা ভোট দিতে পারবেন না। সংবিধানে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে। অনুচ্ছেদ ৫৫ (৩) ধারা অনুসারে, একক ভোটদানের মাধ্যমে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব মেনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই ব্যবস্থায়, ভোটারকে প্রার্থীদের নামের পাশে চিহ্নিত করে মতামত জানাতে হয়।
RAJIB CHAKRABORTY