প্রসঙ্গত মুখ্যমন্ত্রী কন্যাবিবাহ/নিকাহ প্রকল্পের উদ্যোগে এই গণবিবাহের আসর আয়োজিত হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের ডিন্ডোরির গড়সরাই এলাকায়। যাঁদের পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে, তাঁদের মধ্যে একজন জানিয়েছেন তিনি বিয়ের আগে থেকেই তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন। তাঁর ধারণা, সে কারণেই চূড়ান্ত তালিকা থেকে তিনি বাদ পড়েছেন। যদিও উদ্যোক্তারা স্পষ্ট কারণ তাঁকে কিছু জানাননি বলেই তাঁর দাবি।
advertisement
বচ্ছরগাঁও গ্রামের প্রধান মেদানি মারাওইয়ের অভিযোগ, এই পরীক্ষায় আসলে মেয়েদের অপমান করা হয়েছে। পরিবার ও সমাজের চোখে ওই মেয়েদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিল এই পরীক্ষা, দাবি রিপোর্টে। ডিন্ডোরির মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমেশ মারাওইয়ের দাবি, সাধারণত বয়সের প্রমাণ ও অন্যান্য শারীরিক সুস্থতার দিকগুলি জানতেই পরীক্ষা করা হয়। উল্লেখিত গণবিবাহের আসরে নির্দিষ্ট কয়েক জন মেয়ের উপরই প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা হয় বলে তাঁর দাবি।
তবে বিবাহের চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য দফতরের নয় বলেই রমেশ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী সামাজিক ন্যায় বিভাগ সিদ্ধান্ত নেয় ওই পাঁচজন তরুণীকে বিবাহের চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার।