প্রশান্ত কিশোর বলেন, নির্বাচনের আবহে অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করাও একটি বড় ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে, যা নির্বাচনে বিজেপির হাতে আপের পরাজয়ের কারণ হয়ে উঠেছে।
এক সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোর কেজরিওয়ালের অস্থির রাজনৈতিক অবস্থানকে তুলে ধরেন। তাঁর মতে, কেজরিওয়াল লালু যাদব এবং সনিয়া গান্ধির মতো নেতাদের নিয়ে গঠিত বিরোধী INDIA ব্লকে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, আবার তাদের বিরুদ্ধেই লড়াই করলেন এবং তারপর দিল্লি নির্বাচনে একা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন, এই বিবিধ সিদ্ধান্ত দলের বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে মত পিকে-র।
advertisement
প্রশান্ত কিশোরের কথায়, “দিল্লিতে AAP-এর বড় পরাজয়ের প্রথম কারণ ১০ বছরের প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা। দ্বিতীয়ত, AAP-এর একটি বড় ভুল ছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পদত্যাগ। আবগারি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার সময়ই তার পদত্যাগ করা উচিত ছিল। তবে, জামিন পাওয়ার পরে পদত্যাগ করা এবং নির্বাচনের আগে অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করা একটি বড় কৌশলগত ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত কেজরিওয়ালের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল।”
এখানেই অবশ্য শেষ নয়, পিকে-র মতে, দিল্লির আপ সরকারের আমলে রাজধানীতে জলের সমস্যা এবং করুণ রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি আপের পরাজয়কে তরান্বিত করেছে। তাঁর কথায়, “দিল্লিতে, বিশেষ করে যারা ঝুপড়িতে বাস করে, সেখানে প্রশাসনের ত্রুটিগুলি আরও বেশি করে ধরা পড়েছে এবং কেজরিওয়ালের মডেলকে দুর্বল প্রমাণ করেছে।”
আম আদমি পার্টির দশ বছরের শাসনের ইতি ঘটেছে। ২৭ বছর বাদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ৪৮টি আসন জিতে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। কেজরিওয়াল নিজে তো হেরেইছেন, তাঁর দলও আটকে গিয়েছে মাত্র ২২ আসনে। সেই পরাজয়ের কারণ হিসেবে একের পর এক মন্তব্য করেছেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর।