গত তিন বছর ধরেে বিহারে ভোটে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর৷ বিহার জুড়ে ঘুরে ঘুরে বেরিয়ে জন সুরজ পার্টিকে বিকল্প রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য মানুষকে বুঝিয়েছেন তিনি৷ তার পরেও বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে খাতা খুলতে পারেনি তাঁর দল৷ প্রশান্ত কিশোর জানিয়েছেন, মানুষকে বোঝাতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন৷ তাই প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যই মৌনব্রত পালন করেছেন তিনি৷
advertisement
ঘটনাচক্রে যেদিন নীতীশ কুমার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দশম বার শপথ নিয়েছেন, সেদিনই মৌনব্রত পালন করেন তিনি৷ প্রশান্ত কিশোর আগেই জানিয়েছিলেন, ২০ নভেম্বর একটি আশ্রমে নীরবে সময় কাটাবেন তিনি৷ ভবিষ্যতে দ্বিগুন উদ্যমে নিজের লক্ষ্যে ঝাঁপানোর শপথ নেওয়ার কথাও জানান তিনি৷
সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানিয়েছিলেন, আমি দ্বিগুন পরিশ্রম করব৷ বিহারের উন্নতি করার যে শপথ আমি নিয়েছি, তা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমি থামব না৷
প্রশান্ত কিশোর আরও বলেন, কীসের ভিত্তিতে ভোট দিতে হবে, বিহারের মানুষকে আমি তা বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছি৷ আমরা হয়তো অনেক ভুল করেছি, কিন্তু আমরা কোনও অপরাধ করিনি৷
বিহার বিধানসভার নির্বাচনে প্রথম বার লড়াই করে একটিও আসনে জিততে পারেনি প্রশান্ত কিশোরের দল৷ ৮৯টি আসন পেয়ে একক বৃহত্তম দল হয়েছে বিজেপি৷ ৮৫টি আসন পেয়েছে জেডিইউ৷
