দিন কয়েক আগে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মোদিকে হারাতে চাই। এ ব্যাপারে যে আঞ্চলিক দলগুলির সহায়তা পাওয়া তাঁর লক্ষ্য তাও পরিষ্কার করে দেন তিনি। ঠিক তার পরেই মমতার চাণক্যের সঙ্গে পাওয়ারের বৈঠক স্বাভাবিক ভাবেই নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত উস্কে দিচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে কোন নিশ্চিত তথ্য কোনও পক্ষই দেয়নি। কিন্তু মমতা শরদ পাওয়ার যে অতি ঘনিষ্ঠ এবং এমন একটি তৃতীয় মঞ্চ তৈরি হলে তা যে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে নয় বরং এই জুটির নেতৃত্বেই হবে এ বিষয়ে প্রায় নিঃসন্দেহ রাজনৈতিক মহল।
advertisement
প্রশান্ত কিশোর গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার মুম্বাইয়ের পেডার রোডে শরদ পাওয়ারের সিলভার ওক রেসিডেন্সিতে পৌঁছে যান সকাল দশটা পঁয়তাল্লিশ মিনিট নাগাদ। বৈঠক চলে দুপুর দুটো পর্যন্ত। এনসিপির রাজ্য সম্পাদক জয়ন্ত পাটিলও এই বৈঠকে যোগ দেন। শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার অবশ্য বলছেন, "পাওয়ার সাহেব বিভিন্ন ক্ষেত্রের কুশলীদের সঙ্গে প্রায়শই দেখা করেন। তার মানে এই নয় তাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই তার রাজনৈতিক কথাবার্তা হয়। এর অন্য কোনও মানে খোঁজা অবান্তর।"
এ দিকে পাওয়ার ঘনিষ্ঠ আরেক নেতা চাগান ভুজবল বলছেন, প্রশান্ত কিশোর একজন ভোটকুশলী। তাঁর প্রতিটি কথার মূল্য অনেক। তিনি যদি কোনও সাজেশন দেন পাওয়ার সাহেব মুক্তমনায় গ্রহণ করবেন এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।