বন্দি নং ১৫৫২৮…
জেলে তো তার আর নিজের নাম নেই তার পরিচিতি – বন্দি নং ১৫৫২৮। জেলের নিয়ম অনুসারে, তাকে একটি সাদা বড়সড় আলখাল্লা জাতীয় পোশাক দেওয়া হয়েছিল, যা দোষী সাব্যস্ত বন্দিদের পরতে হয়। সূত্রের খবর, সাজার প্রথম দিনে প্রজ্বলকে খুব অস্থির দেখাচ্ছিল এবং সারা রাত ঘুমাতে পারেননি।
advertisement
সকাল শুরু হয় একজন সাধারণ বন্দির মতো জীবন শুরু হয়৷ ৩ অগাস্ট সকালে, প্রজ্বলের রুটিন ছিল একজন সাধারণ বন্দির মতোই। তার দৈনন্দিন কাজকর্ম শেষ করে সে চুপচাপ বসে রইল। কারা প্রশাসন তাকে খাবারে নোনতা আভালাক্কি দিল। এটি এক ধরণের শুকনো পোহা, যা সেখানে বন্দিদের দেওয়া হয়।
প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা কাজ করতে হবে
এখন প্রজ্জ্বলকে জেলে প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। জেলের নিয়ম অনুসারে, তাকে বিভিন্ন কাজের মধ্যে একটি বেছে নিতে হবে – যেমন বেকারিতে কাজ করা, বাগান করা, সবজি চাষ করা, দুধের খামারে কাজ করা, হস্তশিল্প তৈরি করা বা কাঠের কাজ (ছুতোর কাজ)।
বাকি কয়েদিরা যেরকম তাদের কাজের বিনিময়ে নামমাত্র বেতন পাবে। প্রাথমিকভাবে, তাদেরকে অদক্ষ কর্মী হিসেবে বিবেচনা করা হবে এবং বিনিময়ে তারা প্রতি মাসে ৫২৪ টাকা পাবে। যদি তারা ভাল কাজ করে, তাহলে এক বছর পর তাদের আধা-দক্ষ এবং তারপর দক্ষ বন্দী বিভাগে উন্নীত করা যেতে পারে, যার ফলে সেখানে তাদের বেতনও বৃদ্ধি পাবে।
ভুক্তভোগী ক্ষতিপূরণ পাবেন
আদালত প্রজ্বালকে ১১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এই জরিমানার মধ্যে ১১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা ভুক্তভোগীকে দেওয়া হবে। ভুক্তভোগীকে সাহায্য এবং ন্যায়বিচার হিসেবে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
