আগরতলায় এসে তাই তিপ্রামোথা প্রধান প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্যর সঙ্গে, কথা বলতে চাইলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিপ্রামোথা অবশ্য আগেই বলেছে, তারা সরকারের সাথে যোগ দেবে না৷ তবে প্রশাসনিক উন্নয়ন কাজে তারা সাহায্য করবে৷ একই সাথে তিপ্রাল্যান্ড ইস্যু থেকে তারা যে সরে আসছে না সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছে তারা। এই অবস্থায় হিমন্তর সফর রাজনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রতর জেলায় পিকে-র টিমের কর্মীরা, গাড়িতে এমন কাণ্ড ঘটালেন, তুঙ্গে উঠল বিতর্ক
জয়ের জন্য দলীয় কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, “এটা দারুণ সাফল্য। সাধারণ মানুষ যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপরে বিশ্বাস রেখেছেন, তা আরও একবার প্রমাণিত হল। ত্রিপুরায় বিজেপির কার্যকর্তারা অত্যন্ত কঠোর পরিশ্রম করেছেন, আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি ত্রিপুরার মানুষের কাছেও আমরা কৃতজ্ঞ।”হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য তিপ্রা মোথা বেশ কিছু ইস্যু তুলে ধরেছে। যদি ত্রিপুরা রাজ্য ভাগ করার দাবি ছেড়ে দেন তারা, তবে আমরা কথা বলতে রাজি। আমরা আদিবাসী মানুষদের সমস্যা মেটাতে রাজি, কিন্তু গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড নিয়ে আমরা কথা বলতে পারব না। ত্রিপুরা অভিন্নই থাকবে। এর জন্য রাজ্য বা কেন্দ্রীয় স্তরে যা কিছু করা দরকার, তা করা হবে।”
আরও পড়ুন: শুভেন্দু-হিমন্ত বিশ্বশর্মার নাম, মোদিকে চিঠি লিখলেন মমতা সহ ৯ বিরোধী নেতা! 'বিভেদ' কমবে?
ত্রিপুরায় বিজেপি-আইপিএফটি জোটের সরকার গঠন যখন নিশ্চিত, সেখানেই তিপ্রা মোথার সঙ্গে জোটের সম্ভাবনা আবারও উসকে দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। শনিবার তিনি বলেন, “বিজেপি ও তিপ্রা মোথার মধ্যে জোট নিয়ে ফের আলোচনা শুরু হতে পারে কিন্তু তবে একটাই শর্ত রয়েছে, অভিন্ন ত্রিপুরা।”অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক জানিয়েছেন, আদিবাসীদের জন্য অনেক কাজ হচ্ছে। তার যথাযথ প্রচার করতে হবে এখন থেকেই।