জোটে নয় একক দক্ষতায় ভোটে লড়াই করেছে দল ৷ এবার মানুষের দাবি নিয়ে লড়ার জন্য, মানুষের কাছেই সাহায্য চাইছে তিপ্রামোথা ৷ ত্রিপুরার ৪২ আসনে এবার লড়াই করছে মহারাজার দল। আর সেই সব আসনে ভোটে লড়ার জন্য বা প্রচারের জন্য প্রয়োজন অর্থ সাহায্য। তার জন্য ক্রাউড ফান্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ এক্ষেত্রে অবশ্য উল্লেখ করা হয়েছে বৈধ অ্যাকাউন্ট থেকেই অর্থ তিপ্রামোথার অ্যাকাউন্টে পাঠাতে বলা হয়েছে। কোনও ভাবেই ইউপিআই-এর মাধ্যমে অর্থ নেওয়া হবে না বলে দলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।জোটে নয়, একক দক্ষতাতেই ত্রিপুরায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করতে চলেছে তিপ্রামোথা। তিপ্রামোথার তরফে রাজ্যের ৪২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তিপ্রামোথাকে কাছে পেতে আগ্রহী ছিল বাম-কংগ্রেস জোট। কাছে পেতে আগ্রহী ছিল শাসক দল বিজেপিও। যদিও বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ডের লিখিত প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত যে তারা জোটে যাবে না সে বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন - Gariahat Money Recovered: আবার টাকা শহরে, এবার গড়িয়াহাট মোড় থেকে উদ্ধার টাকার পাহাড়
তাই তিপ্রামোথার প্রধান মহারাজা প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য জানিয়েছেন, ‘‘নিজের দক্ষতাতেই তিপ্রামোথা বিধানসভা ভোটে লড়াই করবে। আমরা কারও সঙ্গে সমঝোতা করছি না। জনজাতি মানুষের স্বার্থে আমরা মানুষের সাথে কোনও সমঝোতায় আমরা যাব না।’’ তিপ্রামথার অপেক্ষায় বসে না থেকে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটে আসন সমঝোতা পাকা করে ফেলেছে বাম-কংগ্রেস। উভয়েই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিয়েছে।অন্যদিকে, ভোটের আগেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সঙ্গে ত্রিপুরার জনজাতি দলটির নেতাদের বৈঠকে সমঝোতা চূড়ান্ত হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। যদিও এখনও পর্যন্ত তিপ্রা ইন্ডিজেনাস প্রোগ্রেসিভ রিজিয়নাল অ্যালায়েন্স নেতৃত্বে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের ‘লিখিত প্রতিশ্রুতি’র দাবিতে অনড় তিপ্রা নেতারা।
দলের প্রধান তথা জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের বুবাগ্রা প্রদ্যোত বিক্রম মাণিক্য দেব বর্মন বলেছেন, ‘‘এখনও আমরা কোনও জোটে নেই। জনজাতি সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষায় বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ড প্রতিষ্ঠাই আমাদের এক মাত্র লক্ষ্য।’’ত্রিপুরার ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ২০টি জনজাতি সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত। ২০১৮-র বিধানসভা নির্বাচনে এর মধ্যে ১০টিতে বিজেপি এবং ৮টিতে তার সহযোদী দল আইপিএফটি জয়ী হয়েছিল। সিপিআইএম জিতেছিল দু’টিতে। গত কয়েক মাসে আইপিএফটির নেতা-কর্মীদের অধিকাংশই তিপ্রায় যোগ দিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে জনজাতি এলাকায় বাম-কংগ্রেস জোটকে ঠেকাতে তিপ্রাকে পাশে পেতে সক্রিয় হয়েছিল বিজেপি।উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের মোট ৩৬ লক্ষ ৭৪ হাজার নাগরিকের মধ্যে বাঙালি ২৪ লক্ষ ১৪ হাজার। অন্য দিকে, জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ ৮ লক্ষ ৮৭ হাজার।আগেই প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য বিজেপির জোটসঙ্গী আইপিএফটিকে জানিয়ে দিয়েছিল, তারা যেন তাদের সাথে মিশে যায়।