বিচারপতি দেবন রামচন্দ্রন (Devan Ramachandran) অভিযুক্ত এক অফিসারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের তরফে বলা হয়েছে যে, শাস্তিমূলক কার্যক্রম শুরু করা এবং শেষ না হওয়া পর্যন্ত, অফিসারকে দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা হবে। আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তাঁকে তাঁর আচরণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত। এই নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গে, আদালত তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনের জন্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে নির্দেশনা দিয়ে ৮ বছর বয়সী মেয়েটির দায়ের করা একটি আবেদনের নিষ্পত্তি করেছে।
advertisement
ওই মেয়েটির পরিবার ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫০ লক্ষ টাকাও চেয়েছিল, কিন্তু আদালত বলেছে যে, এই আবেদনের পরিমাণ যথেষ্ট এবং আবেদনকারী নাগরিক আইনের অধীনে উচ্চতর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী। আদালত আরও বলেছে যে আবেদনকারী এবং তার বাবা অফিসারের বিরুদ্ধে অন্য মামলাও করতে পারেন।
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে ২৭ অগাস্ট, যখন আতিঙ্গলের বাসিন্দা জয়চন্দ্রন (Jayachandran) তাঁর আট বছর বয়সী কন্যার সঙ্গে মুনমুক্কুতে পৌঁছন। বাবা এবং মেয়ে ওই সময় বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারে (ভিএসএসসি) একটি বিশাল কার্গোর প্রদর্শনী দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানেই রাজিথা (Rajitha) নামে মহিলা পুলিশ অফিসারকে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য মোতায়েন করা হয়েছিল। হঠাৎ ওই অফিসার বাবা এবং মেয়েকে পুলিশের গাড়িতে রাখা তাঁর মোবাইল ফোনটি চুরি করার জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন।
পরবর্তীতে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে অফিসার ও তাঁর সহকর্মীকে বাবা এবং মেয়েকে হয়রান করতে দেখা যায়। সে সময় এক প্রত্যক্ষদর্শী অফিসারের নম্বরে ডায়াল করলে, মোবাইল ফোনটি পুলিশের গাড়িতেই পাওয়া যায়। তবে পুলিশ দলটি বাবা ও মেয়ের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের অংশ হিসাবে, মহিলা অফিসারকে বদলি করা হয় এবং রাজ্য পুলিশ প্রধানের তরফে তাকে আচরণগত প্রশিক্ষণ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের তরফে বলা হয় যে, ওই অফিসার নিজের ক্ষমতার বলেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন!