সোমবার সকালেই ট্যুইটারে ঘূর্ণিঝড়ের সুস্পষ্ট ‘আই’ বা চোখের উপগ্রহ চিত্র শেয়ার করেছে আইএমডি। সেখানে বলা হয়েছে ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে সাতটায় তোলা এই উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে, গভীর ও স্পষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের চোখ। আর তা থেকেই বোঝা যাচ্ছে, কতটা শক্তি সঞ্চয় করেছে আমফান।
আবহওয়া দফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সোমবার দুপুর থেকেই দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া বদল হবে। বৃষ্টি শুরু হতে পারে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায়, তবে সেই বৃষ্টির পরিমাণ প্রথমে সামান্য থাকবে। তারপর মঙ্গলবার থেকে ক্রমেই বাড়বে বৃষ্টি। প্রবল বরষনে ভাসবে বাংলা। ১৮ থেকে ২০ মে'র মধ্যে বাংলায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। রবিবার রাতে বলা হয়েছিল ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রবল শক্তিশালী ঝড়ের আকার ধারণ করবে আমফান। সেই সময় পেরিয়ে গিয়েছে, তাই বলা চলে ইতিমধ্যে ভয়ঙ্কর ঝড়ের আকার ধারণ করেছে এটি।
ইতিমধ্যে ওড়িশার স্থানীয় আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপকূল অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রাম খালি করার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। বলা হয়েছে, ওড়িশায় যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলি চলছে, সেগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় ইতিমধ্যে এসে পৌঁছে গিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলের ১৭টি শাখা দল।
রাজ্যের দিকে আমফানের গতিমূখ হওয়ায় আশঙ্কায় ভূগছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলি জেলায় ঝড়ের ভয়ানক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ওড়িশার ১০টি জেলায়ও রয়েছে বিপদের সংকেত।