ট্যুর প্যাকেজ খরচ
বিলাসবহুল ক্রুজে চেপে ৫২ দিনের জলযাত্রার এই বিশেষ পর্যটন প্যাকেজের জন্য খরচ মোট ১৩ লাখ টাকা। তবে, কেউ চাইলে তাঁর চাহিদা মতো দিনের প্যাকেজও পেতে পারেন। দৈনিক ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে। বিদেশি ও কর্পোরেট পর্যটকদের জন্য তৈরি বিশেষ এই জলযানের নাম এম ভি গঙ্গাবিলাস।
advertisement
এম ভি গঙ্গাবিলাসের যাত্রাপথ
বারাণসী থেকে যাত্রা করে বাংলাদেশ হয়ে অসমের ডিব্রুগড়ে পৌঁছতে ৫২ দিনে বিলাসতরীটি মোট ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার জলপথ অতিক্রম করবে। এর মধ্যে বাংলাদেশের ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার জলপথ অতিক্রম করতে বিলাসতরীর লাগবে ১৫ দিন। বারাণসীর গঙ্গায় জলযানটি যাত্রা শুরু করে গাজিপুর, বক্সার, পাটনা হয়ে রাজ্যের ফারাক্কা, মুর্শিদাবাদ, কালনা দিয়ে সুন্দরবনের প্রান্তে নামখানা, সজনেখালি হয়ে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করবে। এরপর বাংলাদেশে মরেলগঞ্জ, মেঘনাঘাট, সোনারগাঁও, চিলমারি হয়ে আবার অসমের ধুবড়ি দিয়ে ব্রহ্মপুত্র ধরে শেষপর্যন্ত গুয়াহাটি ও ডিব্রুগড়ে পৌঁছবে।
যাত্রাপথের দ্রষ্টব্য
এমভি গঙ্গা বিলাসের ৫২ দিনের এই জলযাত্রায় প্রায় ৫০ টির বেশি জায়গায় থামবে। পর্যটনের দিক থেকে আকর্ষণীয় এই জায়গাগুলির মধ্যে যেমন রয়েছে অসমের কাজিরাঙার মত জাতীয় উদ্যান এবং অভয়ারণ্য, তেমনই রয়েছে বিশ্বের আশ্চর্য সুন্দর সুন্দরবনের ব-দ্বীপ দর্শন।
জলপথ পর্যটনকে ঘিরে কেন্দ্রের পরিকল্পনা
প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্পের সাফল্য নিয়ে আশাবাদী কেন্দ্রীয় পর্যটন নিগম ও অসামরিক জলপথ পরিবহণ নিগম। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল বলেন, গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদীর জলপথকে কাজে লাগিয়ে দেশের বৃহত্তম জলপথ পরিবহণের সুযোগ রয়েছে৷ নিঃসন্দেহে এটি দেশের মধ্যে দীর্ঘতম জলপথ পর্যটন এবং বিশ্বে অন্যতম। এই প্রকল্প সফল হলে, আগামী দিনে দেশে মোট ১০০ টি জাতীয় জলপথ উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের। এর ফলে, দেশের পর্যটন মানচিত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। শুধু পর্যটনই নয়, দেশের জলপথ উন্নয়নের মাধ্যমে সাধারণ যাত্রী ও মাল পরিবহণেও যুগান্তকারী পরিবর্তনের সূচনা হবে।
কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা নিয়ে বিশেষজ্ঞের মত
তবে, কেন্দ্রের এই জলপথ পরিবহণ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়ে বিশিষ্ট নদী বিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্র বলেন, জলপথকে নিয়ে এই স্বপ্ন দেখার আগে, দেশের নদ নদী গুলির বাস্তব অবস্থার উন্নতি দরকার। গঙ্গা থেকে শুরু করে দেশের নদী গুলির নাব্যতার উন্নতি বিধানে দীর্ঘমেয়াদী কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ছাড়া এ ধরনের প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। দরকার, জলপথ পরিবহণকে ঘিরে পরিকাঠামোর পরিবর্তন।