সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেলে ১০মিনিটের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন নাইডু৷ তেলেগু দেশম পার্টির প্রধান তিনি৷ তাই টিডিপি দলের প্রধান হয়ে দুই মন্ত্রীর দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীকে জানালেন চন্দ্রবাবু নাইডু৷ তবে, অশোক গজপতি এবং ওয়াইএস চৌধুরি তাদের পদত্যাগ পত্র এখনও জমা দেননি বলে জানা গিয়েছে৷
রাজ্যকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছিলেন টিডিপি প্রধান তথা অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু৷ কিন্তু কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী চন্দ্রবাবুর এই দাবি একেবারে নাকচ করে দিতেই চিড় ধরে সম্পর্কে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মরিয়া চেষ্টাও কাজে এল না৷ বুধবার রাতে সাংবাদিক বৈঠক করে নাইডু জানিয়ে দেন, মোদী সরকারের শরিক থাকতে চান না তিনি৷
advertisement
গভীর রাতে চন্দ্রবাবু বৈঠকের পরই নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র৷ চন্দ্রবাবুর সাংবাদিক বৈঠকের পরই অন্ধ্রপ্রদেশের রাজ্য সভাপতি কে হরি বাবুর সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেন টিডিপি প্রধান৷ কিন্তু এরপরেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া গেল না৷ বৃহস্পতিবার সকালে নাইডুর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের আগেই রাজ্য বিজেপি দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শ্রীনিভাসা রাও এবং টি মানিক্যলা রাও৷
দেশের বিভিন্ন রাজ্যে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র বরাদ্দ করে ৬০শতাংশ৷ বাকি ৪০শতাংশ বরাদ্দ করে রাজ্য৷ উত্তর এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য ৯০শতাংশ বরাদ্দ করে কেন্দ্র৷ অপরদিকে, রাজ্য বরাদ্দ করে ১০শতাংশ৷ এই একই নিয়ম অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষেত্রেও চালু করার প্রস্তাব দেন অরুণ জেটলি৷ কিন্তু বিশেষ মর্যাদাপ্রাপ্ত রাজ্যের তকমা দেওয়ার বিরোধিতা করেন জেটলি৷ আর তাতেই সমস্যা জটিল হয়৷
প্রসঙ্গত, চন্দ্রবাবু নাইডুর সুরেই এবার তাল মেলালেন আরজেডি দলের প্রধান নিতীশ কুমার৷ বিহার রাজ্যকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি৷ পাশাপাশি চন্দ্রবাবু নাইডুর সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছেন আরজেডি প্রধান৷