নয়াদিল্লির অবস্থান স্পষ্ট হতেই নড়েচড়ে বসেছে পাকিস্তান। দিল্লির ধাক্কায় ২৭ বছরের নীরবতা ভেঙে নিঃশর্তেই বালোচ নেতাদের আলোচনায় ডেকেছে পাক প্রশাসন।
কাচের ঘরে বাস করে অন্যকে ঢিল ছোড়া নয়। গিলগিট-বালোচিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীর সমস্যায় জর্জরিত ইসলামাবাদকে সত্তরতম স্বাধীনতা দিবসে সেই বার্তাই দিল নয়া দিল্লি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, গিলগিট-বালোচিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেখানে কোনওদিন যাইনি, তাঁদের কোনওদিন দেখিনি ৷’
advertisement
কয়েকদিন আগেই বালোচিস্তান-গিলগিট ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাক প্রশাসনের অত্যাচারের ঘটনায় সহানুভূতি প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ধারা বজায় রইল লালকেল্লার ভাষণেও। মোদির মন্তব্যে পাল্টা ধন্যবাদ জানিয়েছেন বালোচ রিপাবলিক পার্টির নেতারা।
কাশ্মীরকে ইস্যু করতে গিয়ে বুমেরাং আক্রমণে পিছু হঠেছে ইসলামাবাদ। গত ২৭ বছরে এই প্রথম কোনও শর্ত ছাড়াই বালোচ নেতাদের আলোচনায় ডেকেছে পাক সরকার। শীর্ষ নেতাদেরও সাময়িক মুক্তির ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
এদিনও, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থানকে কটাক্ষ করেন মোদি।
পেশওয়ারের স্কুলে সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে এনে প্রধানমন্ত্রী সোমবার বলেন, ‘পেশওয়ারের স্কুলে হামলায় ভারতের প্রতিটি স্কুল কেঁদেছিল। কিন্তু, কেউ সন্ত্রাসবাদীদের শহিদ বলে দেখাচ্ছে, মানুষের মৃত্যুতে উল্লাস করছে।’
ভারতের অবস্থানে গিলগিট-বালোচিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের দাবি আরও বেশি আন্তর্জাতিক হয়ে ওঠার সিঁদুরে মেঘ দেখছে ইসলামাবাদ। সেকারণেই তড়িঘড়ি বৈঠক ডেকে ক্ষতে প্রলেপ দিতে চাইছে ঘরে-বাইরে কোণঠাসা পাকিস্তান।