শনিবার সকালে ভারতীয় সেনার তত্ত্বাবধানে বিশেষ বিমানে নামিবিয়া থেকে মোট আটটি চিতা এসে পৌঁছয় গোয়ালিয়র বিমানবন্দরে৷ তার পর সেখান থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার এমআই-১৭ হেলিকপ্টারে তাদের পাঠানো হয় কুনো জাতীয় উদ্যানে৷ প্রথমে ঠিক হয়েছিল তারা কুনো জাতীয় উদ্যানে পৌঁছবে ভারতীয় বায়ুসেনার চিনুক হেলিকপ্টারে৷ কিন্তু যদি শব্দের কারণে তাদের অসুবিধে হয়, সেকথা চিন্তা করে চিনুকের বদলে বেছে নেওয়া হয় এমআই-১৭ হেলিকপ্টার৷
advertisement
বিন্ধ্য পর্বতের উত্তর দিকে ৩৪৪.৬৮৬ বর্গকিমি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত কুনো জাতীয় উদ্যানের নামকরণ করা হয়েছে চম্বলের শাখানদী কুনোর নদীর নামে৷ পর্যাপ্ত শিকার এবং দিগন্ত বিস্তৃত ঘাসজমির জন্য এই জাতীয় উদ্যানকে বেছে নেওয়া হয়েছে নবাগত চিতাদের নতুন ঠিকানা হিসেবে৷
আরও পড়ুন : ৭০ বছর পর ভারতে এল বিরল চিতা, গোয়ালিয়র থেকে পৌঁছল কুনো জাতীয় উদ্যানে
প্রসঙ্গত ভারতে একসময় বাস ছিল এশিয়াটিক চিতা-র৷ কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকে৷ ভারতে শেষ জীবিত চিতা মারা যায় আজকের ছত্তীসগঢ়ের কোরীয়া জেলায়৷ ১৯৫২ সালে পুরো প্রজাতি নিশ্চিহ্ন বা বিলুপ্ত হয়ে যায় এ দেশে৷ ৭০ বছর পর আবার ক্ষিপ্র ও দ্রুততম চতুষ্পদের পা পড়ল ভারতে৷ এই প্রকল্পে ভারতে চিতা পাঠানোর জন্য নামিবিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান নরেন্দ্র মোদি৷
আরও পড়ুন : শুধু চিতা নয়, মোদির জন্মদিনে বড় চমক সন্ধ্যায়! কী বিশেষ ঘোষণা হতে চলেছে, জেনে নিন বিস্তারিত
তবে বিশেষজ্ঞদের সাবধানবাণী, নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে সমস্যা হতে পারে নামিবিয়া থেকে আগত চিতাদের৷ তাছাড়া কুনো জাতীয় উদ্যানে ইতিমধ্যেই প্রচুর লেপার্ড বা চিতাবাঘ রয়েছে৷ বিলুপ্তপ্রায় চিতা সারা পৃথিবীতে বর্তমানে আছে ৭ হাজারটি৷ মূলত আফ্রিকার সাভানা তৃণভূমিতেই তাদের বাস৷ অন্যদিকে ভারতে ব্যাঘ্র প্রকল্প আছে মোট ৫২ টি৷ ১৮ রাজ্যে প্রায় ৭৫ হাজাক বর্গকিমি এলাকা জুড়ে এই অভয়ারণ্যগুলিতে বাস বিশ্বের বন্য বাঘের প্রায় ৭৫ শতাংশের৷