TRENDING:

ঐতিহাসিক দিন! বিশ্বের দীর্ঘতম হাইওয়ে টানেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

Last Updated:

সমুদ্রতল থেকে ১০,০০০ ফুট উচ্চতায় অটল টানেল বিশ্বের দীর্ঘতম হাইওয়ে টানেল

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#মানালি: হিমাচল প্রদেশের রোটাংয়ে আজ, শনিবার অটল টানেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মানালি থেকে লেহকে সংযুক্ত করবে এই টানেল। এই টানেল ব্যবহার করলে মানালি ও লেহ-র মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৪৬ কিলোমিটার কমে যাবে বলে জানা গিয়েছে। তার ফলে যাতায়াতের সময়ও চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা কমে যাবে। বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মতে, এই টানেল পরিবহণের খরচ কমিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে।
advertisement

মানালিকে লেহ-র সঙ্গে যুক্ত করা বিশ্বের সবথেকে দীর্ঘ টানেল অটল সুড়ঙ্গ অবশেষে ১০ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হয়ে গিয়েছে। সমুদ্রতল থেকে ১০,০০০ ফুট উচ্চতায় এটিই বিশ্বের দীর্ঘতম হাইওয়ে টানেল। এই টানেল প্রায় ৮.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ। যা বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ হাইওয়ে টানেলের শিরোপা পেতে চলেছে। এই প্রকল্পের বাস্তবায়নে খরচ হয়েছে প্রায় ৩,২০০ কোটি টাকা। সুড়ঙ্গের ভিতরে দুই লেনের রাস্তা, এছাড়াও দুই দিকে রয়েছে ফুটপাত। সুড়ঙ্গের ভিতরে থাকা ফুটপাতগুলি একটা দিকে চওড়ায় ৮ মিটার, অন্যদিকে ১ মিটার। সুড়ঙ্গের ভিতরে গাড়ির সর্বোচ্চ গতি থাকবে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। টানেলে সারা দিনে ৩০০০ গাড়ি এবং ১৫০০ ট্রাক যাতায়াত করতে পারবে।

advertisement

সুড়ঙ্গের ভিতরে অক্সিজেনের মাত্রাকে ঠিক রাখার জন্য সেমি-ট্রান্সভার্স প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়েছে। এছাড়াও SCADA নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তিকে কাজে লাগানো হয়েছে সুড়ঙ্গের ভিতরে কোনও অগ্নিসংযোগ বা অন্য কোনও অপ্রীতিকর ঘটনাকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নিয়ন্ত্রণের জন্য। সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রতি ১৫০ মিটার অন্তর টেলিফোন রাখা রয়েছে এমার্জেন্সি কলের জন্য। গোটা টানেল জুড়ে রয়েছে অগ্নিনির্বাপনের জন্য জলের পাইপ লাইন। অগ্নিনির্বাপনে পাইপলাইনের মাধ্যমে জল দেওয়ার জন্য প্রতি ৬০ মিটার অন্তর ফায়ার হাইড্র্যান্ট পাম্প বসানো হয়েছে। সুড়ঙ্গের ভিতরে টেলিকমিউনিকেশন সিস্টেম যাতে কাজ করে সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

সুড়ঙ্গের ভিতরে প্রতি ২৫০ মিটার অন্তর রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। বাতাসের মান যাচাই-এর জন্য ১ কিলোমিটার অন্তর মনিটরিং যন্ত্র বসানো হয়েছে। ২৫ মিটার অন্তর ইভাকুয়েশন বা এক্সিট গেট রাখা হয়েছে। আগুনের সম্ভাবনাকে নজরদারি করার জন্য প্রতি ৫০ মিটার অন্তর ফায়ার রেটেড ড্যাম্পার বসানো হয়েছে। এছাড়াও প্রতি ৬০ মিটার অন্ত ক্যামেরাও বসানো হয়েছে সমস্ত কিছুকে নজরদারি করার জন্য। মূল টানেলের নীচে রয়েছে একটি ছোট টানেল, যেখানে একটি মাত্র গাড়ি একটা সিঙ্গল লাইনে যাবে। এই ছোট টানেলটি তৈরি হয়েছে এমার্জেন্সি এক্সিটের জন্য।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
ঐতিহাসিক দিন! বিশ্বের দীর্ঘতম হাইওয়ে টানেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল