কমিশন বৃদ্ধি করা, রেশন ডিলারদের করোনাযোদ্ধা ঘোষণা করা সহ একাধিক দাবিতে নয়াদিল্লির যন্তর মন্তরে ধরনায় বসেছে অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন। আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাই প্রহ্লাদ মোদি। বিষয়টি যথেষ্ট অস্বস্তিকর বিজেপির পক্ষে। গতকাল শুরু হয়েছে আন্দোলন। প্রহ্লাদ মোদি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশের পাশাপাশি রাজ্যের রেশন ব্যবস্থার মডেলকে সারাদেশে তুলে ধরার দাবি জানান।
advertisement
আরও পড়ুন- মোদির "ডিপি বদলান" ডাকে সাড়া রাহুল গান্ধির! চমকে দেওয়া প্রোফাইল পিকচার পোস্ট
প্রহ্লাদ জানান, করোনার সময় দেশের বেশিরভাগ মানুষ যখন আক্রান্ত, লকডাউনের কারণে ঘরবন্দি সেই সময় রেশন পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছেন ডিলাররা। কোনও পিপিই কিট ছাড়াই মানুষের কাছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রেশন পৌঁছে দিয়েছেন ডিলাররা। ফলে তাঁদের করোনা যোদ্ধা হিসাবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
আরও পড়ুন- ইডির ধরপাকড়ের মধ্যেই নজরে পঞ্চায়েত নির্বাচন! "হিংসা চাই না," নির্দেশ অভিষেকের
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২০ জুলাই লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের লিখিত প্রশ্নের জবাবে রেশন বা গণবন্টন ব্যবস্থার দায় দায়িত্ব রাজ্যের ঘাড়ে চাপায় কেন্দ্রীয় সরকার। সৌগত রায়ের প্রশ্নের জবাবে খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি জানান, রেশন দোকানগুলির আরও উন্নতির জন্য খাদ্য সামগ্রী ছাড়াও অন্যান্য দ্রব্য বিক্রির অনুমতি দিতে পারে রাজ্য সরকারগুলি। রেশন দোকানগুলির উন্নয়নের জন্য একগুচ্ছ পরামর্শ বা প্রস্তাব দিয়েছেন সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। লিখিত জবাবে তিনি উল্লেখ করেছেন, এর জন্য রেশন দোকানগুলিকে কমন সার্ভিস সেন্টারের সুবিধা দিতে হবে। মানুষের নিত্যদিনে সুবিধা প্রদান, ব্যাঙ্কের সঙ্গে গাঁটছড়ার বেঁধে রেশন দোকানগুলিতে গ্রাহক সেবা কেন্দ্রের পরিষেবা, ৫ কেজি ছোটো গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি, সাধারণ মুদি দোকানের সামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী।
বর্তমানে রেশন ডিলারদের কমিশন ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে কুইন্টাল প্রতি ৯০ টাকা। দীর্ঘদিন ধরেই রেশ ডিলাররা কুইন্টাল প্রতি কমিশন অন্তত ৪০০ টাকা করার দাবি জানাচ্ছেন। সে সম্পর্কে অবশ্য এদিনের জবাবে কোনও উল্লেখ করেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।