এরপরে ভূটান সফর শেষে বুধবার দুপুরেই রাজধানীতে নামেন মোদি। মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠকে দিল্লি বিস্ফোরণ নিয়ে সুরক্ষা বিষয়ক পর্যালোচনা বৈঠকও করবেন তিনি। বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ এই বৈঠক হওয়ার কথা।
ভূটান সফর চলাকালীনই থিম্পু থেকে এই বিস্ফোরণে মৃতদের প্রতি শোকপ্রকাশ করেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি আহতদের প্রতি সমবেদনাও প্রকাশ করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দিল্লিতে একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। আমি পরিবারের ব্যথা বুঝি যারা নিজেদের পরিবারের আপনজনকে হারিয়েছেন। গোটা দেশ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে আছে। আমাদের দেশের তদন্তকারী সংস্থাগুলি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের খুঁজে বার করবে এবং সর্বোচ্চ শাস্তি দেবে।”
advertisement
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণে আরও নতুন তথ্য পাওয়া গিয়েছে। বিস্ফোরণের আগে দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় অবাধে ঘুরে বেরিয়েছিল বিস্ফোরক বোঝাই ঘাতক গাড়িটি। সোমবার, দিল্লির লালকেল্লার মেট্রো স্টেশন লাগোয়া ১ নম্বর গেটের সামনে প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের অভিঘাতে এখনও পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মূলত, একটি আই-২০ গাড়িতে বিস্ফোরণের ফলেই এই গোটা ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ নভেম্বর হরিয়ানার ধৌজে আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পার্ক করে রাখা ছিল এই ঘাতক গাড়িটি। এরপরে তা পুরনো দিল্লিতে আনা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, বিস্ফোরণের দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ দিল্লির কনট প্লেস, ময়ূর বিহার এবং দিল্লির বিভিন্ন শহরে অবাধে ঘুরে বেরিয়েছিল গাড়িটি।
অন্যদিকে, ফরেন্সিক দল ইতিমধ্যেই বিস্ফোরণস্থল থেকে ৪০টিরও বেশি নমুনা সংগ্রহ করেছে। এরমধ্যে দু’টি তাজা কার্তুজ এবং বিস্ফোরক পদার্থ পাওয়া গিয়েছে।
প্রাথমিক তদন্ত থেকে তদন্তকারীদের অনুমান, মূলত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু, পরবর্তীতে আরও কোনও জোরালো বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়।
এর আগে ফরিদাবাদে ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ডাঃ মুজাম্মিল গানাই এবং ডাঃ শাহিন সাইদ। দুজনেই আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
