শনিবার তেলেঙ্গানা ও তামিলনাড়ু সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দুই রাজ্যে একাধিক প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর একটি সভায় মোদি বলেন, “কিছুদিন আগে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল একটাই, যাতে কেউ তাদের দুর্নীতির খোঁজখবর না করতে পারে। ওই সব দলগুলি আদালতে গিয়েছিল, কিন্তু আদালত তাদের জোর ধাক্কা দিয়েছে।” নিজের বক্তব্যে ‘দুর্নীতি’ এবং ‘পরিবারতন্ত্র’ নিয়ে আরও একবার বিরোধীদের কাঠগড়ায় তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
advertisement
আরও পড়ুন: ভারত সফরে আসছেন ইউক্রেনের মন্ত্রী, মেপে পা ফেলতে পারে নয়াদিল্লি
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে ১৪টি বিরোধী দলের আবেদন সম্প্রতি খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু সেই আবেদনে মান্যতা দেননি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ। ওই মামলার আবেদনে বিশিষ্ট আইনজীবী এবং কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি শীর্ষ আদালতের বেঞ্চকে জানিয়েছিলেন, সিবিআই এবং ইডি-র দায়ের করা ৯৫ শতাংশ মামলাই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে। এই প্রেক্ষিতে তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার রোখার অনুরোধ জানান নিজের আবেদনে।
তাঁর আবেদনের জবাবে বুধবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, দেশের যে কোনও রাজনৈতিক নেতাও অবশ্যই একজন নাগরিক। আর এজন্য একজন সাধারণ নাগরিক যে ধরণের সুযোগ-সুবিধা বা অধিকার পেয়ে থাকেন কোনও রাজনৈতিক দলের নেতার জন্যও তা সমানভাবে প্রযোজ্য। যদি নির্দিষ্ট কোনও অভি্যোগ থাকে তাহলে আবেদন জানানো যেতে পারে।